ছোটবেলা থেকেই ভূগোল বইতে মেহগনি চাষ সম্বন্ধে আমরা সকলেই অল্প-বিস্তর জেনেছি। কিন্তু আমরা কেউই হয়তো এই চাষের গুরুত্ব কতখানি সে সম্বন্ধে অবগত নই। ভারতে এই মেহগনি গাছ চিরসবুজ প্রজাতির গাছ হিসাবে পরিচিত। যার উচ্চতা ২০০ ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে। আপনি কি জানেন এই গাছ চাষের ফলে কীভাবে রাতারাতি কোটিপতি হওয়া সম্ভব। আসুন এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। বেশ কিছু বছর ধরে ক্রমাগত চাষাবাদের লোকসানের কারণে কৃষকরা নতুন পদ্ধতিতে আবারও চাষাবাদের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন।
গত বছর থেকেই কৃষকদের মধ্যে গাছ চাষ করার প্রবণতা আরো বেড়েছে। বর্তমানে কৃষকরা আরো ভালো মাপের নতুন ধরনের ফসলের চাষ করতে উদ্যোগ নিয়েছে, সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল চন্দন মেহগনি সেগুন জাতীয় গাছ। এগুলো চাষের ফলে তারা ভালো লাভ করছে। চিরসবুজ মেহগনি গাছের উচ্চতা ২০০ ফুট অবধি বাড়ে। এই গাছের কাঠ লাল অথবা বাদামী রঙের হওয়ায় জল দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না। যে স্থানে বাতাসের ঝুঁকি কম থাকে এমন জায়গায় এই গুরুত্বপূর্ণ মেহগনি গাছের চাষ হয়ে থাকে।
তবে আপনারা কি জানেন বাজারে এই গাছের কাঠের দাম অত্যন্ত চড়া। এই গাছের কাষ্ঠ শক্ত হওয়ার ফলে বিভিন্ন আসবাবপত্র, জাহাজ, গয়না, নানা ঐতিহ্যসম্পন্ন ভাস্কর্য প্রভৃতি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। যেহেতু এই গাছের পাতা একপ্রকার ঔষধি তাই এই গাছের পোকামাকড় আসতে পারে না। এই গাছের পাতা থেকে নিঃসৃত তেল বিভিন্ন কীটনাশক হিসাবে এবং মশা তাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এর পাশাপাশি সাবান, রং ও বার্নিশ তৈরিতেও কাজে লাগে।
এছাড়াও এই গাছের সবথেকে চমকপ্রদ বিশেষত্ব হলো এই গাছের পাতা মানবদেহের রক্তচাপ, হাঁপানি, ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসসহ আরো অন্যান্য গুরুতর রোগের বিরুদ্ধে কার্যকরী হয়। কৃষকদের মধ্যে তারা এই গাছ থেকে প্রতিবছর দ্বিগুণ লাভ করছেন কারণ শুধুমাত্র এই গাছের কাঠ ব্যবহার না করেও এই গাছের পাতা ও বীজ ব্যবহার করে দ্বিগুণ লাভ সম্ভব। একটি মেহগনি গাছ ১২ বছরের কাঠের ফসলে পরিণত হতে পারে। অন্যান্য গাছগুলির তুলনায় এই গাছের গুনাগুন বেশী হওয়ায় বিশেষজ্ঞরা কৃষক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলকেই এই গাছ চাষ করার পরামর্শ দেন।
তাহলে বুঝতেই পারছেন এই গাছ একবার চাষ করতে পারলে একজন কৃষকের কয়েক বছরে কোটিপতি হওয়া তার হাতের মুঠোয়।