গত কয়েকবছর ধরে রেলের (Rail) অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। ভারতীয় রেলওয়ের তরফ থেকে বহু নিয়মের পরিবর্তন হয়েছে এবং নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে যাত্রীদের সুবিধার জন্য। তবে আপনি কি জানেন এখনও এমন অনেক অপরিস্কার ট্রেন আছে, যেগুলিতে ভ্রমণ করলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তে বাধ্য। রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে শুরু করে অন্যান্য দ্রুতগতিসম্পন্ন এক্সপ্রেস ট্রেনে এই একই সমস্যার কারণে যাতায়াতকারীরা বেশ সমস্যায় পড়েন।
শুধুমাত্র টুইটারে নয় রেল অ্যাপেও ভারতীয় যাত্রীরা এই বিষয়ে অভিযোগ প্রদান করেছেন। তাই আজকে প্রতিবেদনে এমন ১০ টি ট্রেনের কথা বলব, যে ট্রেনগুলোতে নোংরা থাকার কারণে মানুষদের অভিযোগ অনেক বেশি। তাই এই ট্রেন গুলিতে টিকিট কাটার পূর্বে ভালোভাবে ভেবে দেখবেন।
রেল অ্যাপে প্রাপ্ত অভিযোগ অনুযায়ী, অপরিচ্ছন্নতার দিক থেকে প্রথম স্থানে রয়েছে সহরসা-অমৃতসর ট্রেনটি। এই ট্রেনটি পাঞ্জাবের অমৃতসর থেকে বিহারের সহরসা জেলার দিকে যাওয়ার পথে যথেষ্ট নোংরা হয়ে থাকে। দুদিক থেকেই ঠাসাঠাসি করে চলে এই ট্রেন। এই ট্রেনটি নোংরা হওয়ার কারণে সর্বোচ্চ পরিমাণ ৮৫ টারও বেশি অভিযোগ রয়েছে। কোচ থেকে শুরু করে কেবিনে ময়লা ছড়ানো এবং টয়লেটে অত্যন্ত খারাপ অবস্থা নিয়ে লোকজন অভিযোগ করেছে। এই ট্রেনটি দেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে অসুবিধাজনক ট্রেনের মধ্যে অন্যতম।
এরপর যে ট্রেনগুলি নিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ পাওয়া গেছে সেগুলি হল- ৬৭টি অভিযোগ উঠেছে যোগবানী-আনন্দ বিহার সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে নিয়ে, ৬১টি অভিযোগ রয়েছে বান্দ্রা-শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী স্বরাজ এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে এবং ফিরোজপুর-আগরতলা ত্রিপুরা সুন্দরী এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে ৫৭টি।
৫২টি অভিযোগ উঠেছে দিল্লি থেকে বিহারগামী আনন্দ বিহার-জোগবানী সীমাঞ্চল এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে, ৫০টি অমৃতসর ক্লোন স্পেশাল ট্রেন নিয়ে, ৪০টি অভিযোগ এসেছে আজমির-জম্মু তাভি পূজা এক্সপ্রেস ট্রেনের অপরিষ্কারাচ্ছন্নতা নিয়ে এবং নতুন দিল্লি-ডিব্রুগড় রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনে ময়লা সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া গেছে মোট ৩৫টি।
বিশেষত পূর্ব ভারতের দিকে ধাবিত হওয়া ট্রেনগুলির অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে রেল অ্যাপে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে। অপরিচ্ছন্নতার দিক থেকে ১০টি শীর্ষ ট্রেনের মধ্যে ৭টি রয়েছে উত্তর ও পূর্ব ভারতের সংযুক্ত। প্রত্যেক যাত্রীদের থেকে এত অভিযোগ আসার কারণে এই ট্রেনগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখার জন্য বর্তমানে ট্রেনে অন বোর্ড হাউস কিপিং সার্ভিস চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষরা।