ভারতবর্ষের সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের শাকসবজিও ফলের চাষ হয়। যার মধ্যে সবথেকে সুস্বাদু এবং অতিগুণ সম্পন্ন ফল হল আনারস (Pineapple)। ভারতীয় বাজারে হোক কিংবা বিদেশে আনারসের চাহিদা বেশ ভালই। ভালোভাবে আনারস চাষ করতে কয়েক মাস সময় লাগে এবং স্বল্প পুঁজির মাধ্যমে এই চাষ সম্ভব। তবে আপনি কি জানেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি আনারস কোনটি (World Most Expensive Pineapple)? এই চাষের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়। চলুন এই দামি আনারসের সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
প্রকৃতপক্ষে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আনারসের চাষ হয় ইংল্যান্ডের হেলিগানের লস্ট গার্ডেনে (Heligan Lost Graden England)। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে এই চাষের সরঞ্জামপত্র এনে ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে চাষ করা সম্পন্ন হয়। ইংল্যান্ডের চাষ হওয়া এই বিশেষ আনারসটির নাম হেলিগান আনারস (Heligan Pineapple)। প্রকৃত অর্থে বাগানের নাম থেকে এই আনারসের নাম তৈরি করা হয়।
যদিও ইংল্যান্ডের জলবায়ু আনারস চাষের জন্য খুব বেশি উপযুক্ত নয়, তাই এখানে আনারস চাষের জন্য নতুন ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। স্যার হিসাবে ঘোরার মল ব্যবহার করে এক একটি গামলায় আনারস চাষ করা হয়। এই আনারস চাষ করতে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যায়। তবে আপনি কি জানেন এই আনারস গুলি বিক্রির জন্য চাষ করা হয়, এগুলি এত পরিশ্রম করে উৎপাদন করা হয় উপহারস্বরূপ পাঠানোর জন্য অর্থ্যাৎ উপহার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য।
হেলিগান ডটকমের (Heligan.com) তথ্যানুযায়ী, ১৮১৯ সালে এই আনারস উপহারটি পেয়েছিলেন হেলিগান। তারপয ৬০ থেকে ৭০ বছর পরে এই ধরনের আনারস প্রজাতির চাষ শুরু হয়। হেলিগান গার্ডেনের কর্মীদের মতে ১৯৯১ সালে এই আনারসের চাষ শুরু হয়। সবচেয়ে মজার বিষয়টি হল এই চাষ থেকে পাওয়া দ্বিতীয় আনারস উপহারস্বরূপ দেয়া হয়েছিল স্বয়ং রানী এলিজাবেথকে (Queen Elizabeth)।
এই আনারসের স্বাদ পরীক্ষা করার জন্য প্রথমে খেয়েছিলেন কর্মীরা। এছাড়াও জানিয়ে রাখি, প্রিন্স চার্লস (Prince Charls) হেলিগান বাগানে এসেছিলেন আনারসের চাষ দেখতে।