ভারতের মোট ২৮ টি রাজ্যের মধ্যেই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে। সুতরাং এই বিভিন্ন প্রজাতির মানুষগুলির জীবনযাপন ধারাও ভিন্ন। প্রত্যেকেরই খাদ্যাভ্যাস, কথা বলার ভাষা, পোশাক-পরিচ্ছদে রয়েছে নিজেদের কালচারের ছাপ। তবে যদি বাঙালি জাতির কথা বলা হয়, তাহলে অবশ্যই আপনাকে বাঙালির জাতির মিষ্টি বাংলা ভাষা এবং তার সাথে রকমারি ধরনের খাবার খাওয়ার প্রেমে পড়তেই হবে। বাঙালি খাবারের নাম শুনলেই অনেক সুস্বাদু খাবারের কথা মনে পড়ে যায়।
তবে প্রথমেই যে বিশেষ খাদ্যটি মাথায় আসে তা হল রসগোল্লার (Rasgolla) কথা। বলা যায়, রসগোল্লাই বাঙালির প্রধান খাদ্য। রসগোল্লা (Rasgolla) খেতে অপছন্দ করেন এমন মানুষ হয়তো খুব কমই পাওয়া যাবে। বাঙালির এই প্রধান খাদ্য রসগোল্লা শুধুমাত্র ভারতবর্ষেই নয় তথা সারা বিশ্ব জুড়ে বিখ্যাত। ছানা দিয়ে তৈরি এই রসে ভরা মিষ্টি বাঙালির জীবনের এক অপরিহার্য অঙ্গ।
বছরের পর বছর ধরে বাঙালির ঘরে ঘরে খাবারের শেষ পাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন শুভ অনুষ্ঠানে তথা বাঙালির জীবনে এই রসগোল্লা নিজের জায়গা করে নিয়েছে পাকাপোক্তভাবে। অনেকেই হয়তো জানেনই না একটা সময় রসগোল্লা (Roshogolla) মিষ্টি নিয়ে উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে বেশ বিবাদের সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ তুই রাজ্যই দাবি জানিয়েছিল, রসগোল্লার আবিষ্কার তাদের প্রান্তে। তবে বর্তমানে সেই বিবাদ মিটে গেছে। কারণ এখন রসগোল্লা পশ্চিমবঙ্গের মিষ্টি হিসাবে বিখ্যাত। বছর পূর্বে এই বিখ্যাত মিষ্টির আবিস্কারের আসল গল্প নিয়ে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একটি ফিল্মও তৈরি হয়েছিল।
রসে ডোবানো ছানার বল হল রসগোল্লা। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরণের রসগোল্লা পাওয়া যায়। যেমন – কমলাভোগ, নলেন গুড়ের রসগোল্লা, চকলেট রসগোল্লা, স্ট্রবেরি রসগোল্লা, আম রসগোল্লা, আনারস রসগোল্লা প্রভৃতি। তবে এখন সকলের কাছে সবচেয়ে পছন্দের হল বেকড রসগোল্লা। ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা বাড়ছে এই রসগোল্লার (Rasgolla)।
তবে বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত এই বাঙালি মিষ্টি সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে অনেকেই এই বিষয়ে কয়েকটি সহজ উত্তর দিতে পারেন। বাঙালির কাছে এটা লজ্জাজনক। জানেন রসগোল্লার ইংরেজি নাম কী? রসগোল্লার উপযুক্ত ইংরেজি নাম হল- ‘সিরাপ ফিল্ড রোল’ (Syrup Filled Roll)। তবে অবাকজনক বিষয় হল এই প্রশ্ন গুগলে সার্চ করলেও পাওয়া যায় না।