পেনশন হল মাসিক আয়, যা চাকরিজীবী ব্যক্তিকে কর্মস্থল থেকে অবসর নেওয়ার পর প্রদান করা হয়। একজন চাকরিজীবী ব্যক্তি, নিয়োগকর্তার কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পেনশন হিসেবে পান এবং অবসর নেওয়ার পর এই অর্থই বেতনে পরিণত হয়। তাই আয়করের নিয়ম অনুযায়ী, আনকমিউটেড পেনশনকে আয়কর আইন ১৯৬১এর অধীনে বেতন হিসাবে দেখা হয় এবং তাই তা করযোগ্য, অর্থাৎ পেনশনভোগী ব্যক্তিকেও আয়কর দিতে হবে।
পেনশন দুই রকমে দেওয়া হয়। একটি হলো কমিউটেড পেনশন, অর্থাৎ একেবারে পুরো টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। অন্যটি হলো আনকমিউটেড পেনশন, অর্থাৎ এতে মাসিক ভিত্তিতে পেনশন পাওয়া যায়। অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি কিন্ধরণের পেনশন নেবেন তা তার পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন। আয়করের নিয়ম অনুযায়ী, আনকমিউটেড পেনশনকে আয়কর আইন ১৯৬১এর অধীনে বেতন হিসাবে দেখা হয় এবং তাই তা করযোগ্য, তবে ধারা ৮৯(১)এর আওতায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে যারা মাসিক পেনশন পান, তাদের কিছু ছাড় দেওয়া হয়।
একইভাবে টিডিএস কাটার সময়েও ব্যাঙ্কগুলি ধারা ৮৮ এবং ৮৮বিয়ের আওতায় ট্যাক্স রিবেট সমন্বয় করে। ৪ ধরনের আয়কর ফর্ম রয়েছে বেতনভোগীদের জন্য। এর মধ্যে আইটিআর ১ এবং আইটিআর ২ পেনশনভোগীদের জন্য। আইটিআর১ ফর্মটি ‘সহজ ফর্ম’ নামেও পরিচিত। এই ফর্মটি সেই সকল ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য, যারা পেনশন থেকে বা বেতন থেকে বা অন্যান্য উৎস থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করেন। আইটিআর ২ হলো তাদের জন্য প্রযোজ্য, যারা আইটিআর ১এর আওতায় কর জমা দেওয়ার যোগ্য নন।
২০২১এর কেন্দ্রীয় বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ঘোষণা করেছিলেন, ৭৫ বছরের বেশি বয়সী অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে না। শুধুমাত্র পেনশন যাদের আয়, তাদের জন্যই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়। এই নিয়মে ৭৫ বছরের বেশি প্রবীণ নাগরিকদের করছাড় দেওয়া হয় না, যদি তাঁরা নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করেন, তাহলে শুধুমাত্র আয়কর রিটার্ন ফাইল করা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।