কিছু মাস পূর্বেই আমরা জানতে পেরেছিলাম আর্জেন্টিনা ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া ফিলিপাইন এবং মালেশিয়া সহ আরো বেশ কয়েকটি দেশ ভারতের তেজস (Tejas) বিমান কেনার জন্য ভীষণভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। এছাড়াও দেখা গেছে চিন ও পাকিস্তানের JF-17 এর তুলনায় ভারতের তেজস (Tejas) অনেক বেশি শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী। তবে বর্তমানে কোনটি বেশি শক্তিশালী এই হিসেবে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে ফাইটার জেট এফএ-৫০ (FA-50) এবং এলসিএ তেজাসের মধ্যে।
বর্তমানে মালয়েশিয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে
ভারতে তৈরি লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট তেজাস (Light Combat Aircraft Tejas) প্রত্যাখ্যান করে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এফএ-৫০ জেট (Fa 50 Jet) কিনবে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে, আনুষ্ঠানিকভাবে কোন সিদ্ধান্ত ঘোষণা না হওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিমান কেনার যে চুক্তি হয়েছিল তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। কিন্তু এরপর থেকেই জোরদার ভাবে আলোচনা শুরু হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার এফএ-৫০ জেট এবং ভারতের তেজস এই দুটি বিমানের মধ্যে কোনটি সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী তা নিয়ে। চলুন আমরা এই প্রতিবেদনে এই দুটি বিমানের কি কি বিশেষত্ব আছে তা জেনে নি।
লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট তেজাস অর্থ্যাৎ এলসিএ তেজস (Light Combat Aircraft Tejas) একটি দেশীয় কার্যকরী যুদ্ধবিমান, যা অত্যন্ত হালকা এবং অত্যন্ত দ্রুতগতি সম্পন্ন। এছাড়াও হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড দ্বারা নির্মিত। এই বিমানটি ল্যান্ডিং এবং টেক-অফ করার জন্য যথেষ্ট কম জায়গার প্রয়োজন হয়। বিমান অত্যন্ত আধুনিক এবং দামও বেশ কম। তেজসে অনেক বেশি শক্তিশালী ইঞ্জিন বর্তমান। এই তেজস বিমানে একসাথে ১০টি শত্রু বিমানের লক্ষকে ট্র্যাক করে আঘাত করা সম্ভব। তেজস বাতাসে জ্বালানি ভরপুর করা হয়, সাথে লোড করা থাকে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রও। এই বিমানটি প্রায় ৫২ হাজার ফুট উঁচুতে উঠতে সক্ষম এবং অনায়াসেই আট থেকে নয় টন ভার বহন করতে পারে। এই বিমানের ৬০ শতাংশেরও বেশি যন্ত্রপাতি এই দেশেই তৈরি হয়। সময়ের সাথে সাথে এই তেজস বিমানকে ক্রমাগত আপডেট করা হচ্ছে।
অপরদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার FA-50 জেট খুবই হালকা একটি যুদ্ধবিমান, যা একক-ইঞ্জিনযুক্ত সুপারসনিক ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট এবং ২০১৩ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনী এই বিমানকে ব্যবহার করে চলেছে। একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, যেখানে ভারতের তেজস বিমানের একটি ইউনিটের দাম প্রায় ২৮ মিলিয়ন ডলার ( ২২৩ কোটি টাকা ) সেখানে একটি কোরিয়া অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের (কেএআই) এফএ-50-এর একটি ইউনিটের দাম প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ২৩৯ কোটি টাকা। এই বিমানটি কোরিয়ান এয়ার ফোর্স (ROKAD) এর জন্য কোরিয়া অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি (KAI) দ্বারা নির্মিত।