Skip to content

ইনিই হলেন ভারতের সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তি যার ঝুলিতে একটি দুটি নয় রয়েছে ২০ টি ডিগ্রি! জানেন কে সেই ব্যক্তি?

ভারতের শিক্ষিত ব্যক্তির কোন অভাব নেই। বিদেশে এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যার সিইও পদে রয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তিরা। বিদ্যাসাগর থেকে শুরু করে আব্দুল কালাম, শিক্ষিত ব্যক্তিদের নামের তালিকায় রয়েছে প্রচুর ভারতীয় ব্যক্তিদের নাম। কিন্তু আপনি কি জানেন ভারতের সবথেকে শিক্ষিত ব্যক্তি কে? কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় তিনি পড়াশোনা করেছেন বা কটি ডিগ্রি অর্জন করেছেন ভারতের সবথেকে শিক্ষিত ব্যক্তি? যদি না জানেন তাহলে আজই জানুন তার নাম।

APJ ABDUL KALAM Srikanta Jitchker

এই প্রতিবেদনে আমরা কথা বলবো শ্রীকান্ত জিচকারের (Srikanta Jitchker) কথা, যাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের শিক্ষিত ব্যক্তি বলে গণ্য করা হয়। শ্রীকান্তবাবুর কাছে মোট ২০টি ডিগ্রি ছিল যেটি তিনি ৪২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে অর্জন করেছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত মাত্র ৫০ বছর বয়সে ২০০৪ সালে এটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান শ্রীকান্ত বাবু। আর কিছু বছর বেঁচে থাকলে এই রেকর্ডের পরিমাণ হয়তো আরো কিছুটা বেশি হতো।

Srikanta Jitchker

শ্রীকান্ত জিচকার এতটাই নিষ্ঠার সাথে পড়াশোনা করেছিলেন যে মাত্র ২৫ বছর বয়সে ১৪ টি ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন তিনি। লিমকা বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুসারে, তিনি এখনও পর্যন্ত দেশের সবথেকে শিক্ষিত ব্যক্তি। প্রত্যেকটি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ অর্জন করেছিলেন শ্রীকান্ত, পাশাপাশি বেশ কয়েকটি স্বর্ণপদকও অর্জন করেছিলেন তিনি। চলুন দেখে নেওয়া যাক শ্রীকান্তর ডিগ্রির তালিকা এক নজরে:

১) মেডিকেল ডাক্তার এমবিবিএস এবং এম ডি
২) আইন এলএলবি
৩) আন্তর্জাতিক আইন, এল এল এম
৪) ব্যবসায় প্রশাসনের মাস্টার, ডিবিএম এবং এমবিএ।
৫) সাংবাদিকতায় স্নাতক
৬) এম এ জনপ্রশাসন
৭) এম এ সমাজবিজ্ঞান
৮)এম এ অর্থনীতি
৯) এম এ সংস্কৃত

Srikanta Jitchker
১০)এম এ ইতিহাস
১১) এম এ ইংরেজি
১২) এম এ সাহিত্য
১৩)এমএ দর্শন
১৪) এমএ রাষ্ট্রবিজ্ঞান
১৫) এম এ প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস সংস্কৃতি এবং প্রত্নতত্ত্ব
১৬) এম এ সাইকোলজি

প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত মোট ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় প্রত্যেকটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। আইপিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরপর পদত্যাগ করেন যাতে আইএএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন তিনি। সেই পরীক্ষাও অনায়াসে পাশ করেন শ্রীকান্ত। কর্মজীবনে কয়েক মাস আই এস হিসেবে কাজ করার পর রাজনীতিতে যোগদান করে চাকরি ছেড়ে দেন।

Srikanta Jitchker

১৯৮০ সালে দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন শ্রীকান্ত। একজন সৃজনশীল মানুষ ছিলেন তিনি। লেখাপড়ার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি এবং থিয়েটারে অভিনেতা হিসেবে কাজ করতেন শ্রীকান্ত। দুর্ভাগ্যবশত মাত্র ৫০ বছর বয়সে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।