অনেক সময় টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কিংবা সামাজিক অনেক পোগ্রামে দেখা যায় মানসিকবিদরা অনায়াসেই আপনার মনে কি চলছে তা বুঝে যায়। অর্থাৎ আপনি মনে মনে কি ভাবছেন তা জানতে পেরে যায়। আপনার সামনে উপস্থিত থাকা সমস্ত মেন্টালিস্টের এমন অবস্থা দেখে সকলেই অবাক হন।
আবার এই ধরনের বিষয়ে অনেক সাধুবাবাও আছেন, যাদের শুধু প্রত্যন্ত গ্রামে নয়, শহরেও দেখা যায়। তবে যে সমস্ত সাধুদের আমরা আমাদের জীবনের আদর্শ বলে মেনে চলি, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশ্বর ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী (Dhirendra Krishna Shastri)। তার এই কাজের মাধ্যমেই তিনি সারা বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করেছেন। এটি এমন একটি কাজ যে ক্ষেত্রে কোনও শারিরীক সরঞ্জামের প্রয়োজন পড়ে না। এমনি এমনিই সামনের ব্যাক্তির মনে কথা জানা যায়।
অনেকের কাছে এই বিষয়টি অবাস্তব মনে হতে পারে। অনেকে আবার এই সাধুদেরকে ভন্ডও বলে। তবে যারা প্রকৃত সাইকোলজি বোঝেন, একমাত্র তারাই জানেন মানুষের মনে কী আছে। ব্যাক্তির হাত ও পায়ের নড়াচড়া, মুখের ভাব, পোশাক এবং বসার ভঙ্গি দেখে তারা সহজেই সেই মানুষের মনে কি চলছে তা বুঝে যান।
কার্ল হিউমের সিঙ্ক্রোনাইজেশনের ধারণা অনুসারে, যখন কোনও ব্যাক্তি নিশ্চিন্ত মনে নিজের মনে কি চলছে তা পর্যবেক্ষণ করেন,তখন তা থেকে আপনার মন কিছুটা হলেও সংকেত পায় এবং এর মাধ্যমেই আপনি সামনে ব্যাক্তির মনে কি চলছে সে সম্বন্ধে আন্দাজ করতে পারেন।