সন্ধ্যেবেলা চা-এর সাথে সুন্দর করে মুড়ি, সিঙ্গারার চাট মেখে খাওয়ার মজাই আলাদা। এছাড়াও বাঙালিরা কোনও কিছু আইটেমের সাথে ছাড়াই শুধু শুধুই সিঙ্গারা (Samosa) খেতে বেশ ভালো লাগে। অবশ্য শুধু বাঙালিরা নন, অনেক জাতির মানুষরাই সিঙ্গারার সাথে হরিচাটনি খেতে ভীষণ ভালো বাসেন। অনেক রকমের সিঙ্গারা হয়। চাউ সিঙ্গারা, ফুলকপির সিঙ্গারা, আলুর পুরি দিয়ে সিঙ্গারা, পনির সিঙ্গারা এবং আরও অনেক ধরনের।
অর্থ্যাৎ তিনকোণা আকৃতির এই সুস্বাদু খাবারটিতে আলু, মটর, পনির এগুলোর পুর দেওয়া হয়। অনেক সময় মিষ্টির দোকানে মিষ্টি সিঙ্গারাও পাওয়া যায়। তবে মিষ্টি সিঙ্গারা থেকেও ঝাল সিঙ্গারা তেলেভাজা প্রেমী মানুষদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়।
তবে জানেন এই সুস্বাদু খাবারের উৎপত্তি কোথায় থেকে? বাঙলায় পরিচিত এই সুস্বাদু সিঙ্গারাকে ইরানে সমোসা বলা হয়। এছাড়াও মিশর, লিবিয়া, এশিয়ায় বলা হত সানবুসাক বলা হয়।
তেরোশো শতাব্দীতে এই সমোসা বা সিঙ্গারা রাজার পরিবার থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্য এবং আরবে পাওয়া যেত। অর্থাৎ বলা যায় এই খাবার গ্রহণ করতেন। খাবারটি প্রস্তুত করা হতো রাজ পরিবারের বিশেষ অনুষ্ঠানে। বর্তমানে আলু,মটর, পনির বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি হওয়া এই সিঙ্গার প্রথমবার এক সময় তৈরি হয়েছিল মাংস, বাদাম, পেস্তা, মশলা এবং ওষুধের পুর দিয়ে। তারপর সেটিকে ডিপ ফ্রাই করে চাটনির সাথে পরিবেশন করা হয়েছিল।
অনুমান করা হয় যে সিঙ্গারা ত্রিকোণাকৃতি হওয়ার কারণে অর্থাৎ পিরামিডের মতন দেখতে হওয়ার কারণে এই সুস্বাদু খাদ্যের নাম দেওয়া হয়েছিল সামোসা (Samosa)। প্রতিবছর গোটা দেশ জুড়ে ৫ ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালনের সাথে সাথে বিশ্ব সিঙ্গারা দিবসও পালন করা হয় (World Singara Day is also observed)।