মানুষ 6 ফুট চওড়া জায়গায় সাধারণত বাথরুম তৈরি করে। কিন্তু বিহারের মুজাফফরপুরে এক দম্পতি ওই জায়গায় একটি 5 তলা বাড়ি তৈরি করেছেন। লোকেরা একে মুজাফফরপুরের ‘আইফেল টাওয়ার’ এবং ‘ওয়ান্ডার হাউস’ বলে। এই অনন্য বাড়িটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন, সেলফিও তোলেন।
আসলে এই অনন্য বাড়িটি সন্তোষ ও অর্চনার। বিয়ের সময় সন্তোষ অর্চনাকে 6 ফুট চওড়া ও 45 ফুট লম্বা একটি প্লট উপহার দিয়েছিলেন। পরে তিনি এটি বিক্রি করার কথাও ভেবেছিলেন, তবে এটিকে ভালবাসার নিদর্শন হিসাবে বিবেচনা করে তার উপর একটি পাঁচ তলা বাড়ি তৈরি করেন।
এত অল্প জমিতে বাড়ি বানানো সহজ ছিল না। কিন্তু সন্তোষ আর অর্চনা মিলে ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে এমন একটা মানচিত্র তৈরি করলেন যে এই বাড়িটা একটা বিস্ময় হয়ে গেল। এই বাড়িতে বেডরুম, রান্নাঘর, বাথরুম, বারান্দা, সিঁড়ি সহ সবকিছু রয়েছে। বাড়ির বাইরে পার্কিংও আছে।
বাড়ির মানচিত্র 2012 সালে পাস হয়েছিল। এটি তৈরি করতে সময় লেগেছে তিন বছর। 2015 সালে এই বাড়িটি তৈরি কাজ শেষ হলে মানুষের হুঁশ উড়ে যায়। বাড়ির আশেপাশে কোনও বাড়ি নেই, তাই এই বাড়িটিকে আরও সরু এবং সমতল দেখায়। কালামবাগ চক হয়ে গণিপুর হয়ে রামদয়ালু যাওয়ার রাস্তায় এই বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে।
এখন এই বাড়িতে গত 2 বছর ধরে বাণিজ্যিক কাজও শুরু হয়েছে। নিচতলায় একটি ইনস্টিটিউট খোলা হয়েছে। অন্য তলায় রয়েছে ১টি রুম, রান্নাঘর, বাথরুম এবং গ্যালারি। উপরের তলায় ড্রয়িংরুম ও বাথরুম করা হয়েছে।