আমাদের দেশে এমন অনেক পর্যটন কেন্দ্র আছে যার ব্যাপারে সাধারণ মানুষ তো জানেনই না; এমনকি পর্যটন প্রেমীরাও জানেন না। তেমনি একটি জায়গা হল ধনুশকোডি (Dhanushkodi), যা ভারতের দক্ষিণে তামিলনাড়ু উপকূলে রামেশ্বরম দ্বীপের তীরে অবস্থিত। এটি ভারতের একেবারে শেষ প্রান্ত নামেও পরিচিত। এই জায়গা থেকে স্পষ্ট শ্রীলঙ্কা দেখতে পাওয়া যায়। লোকমুখে জানা গেছে, একসময় এখানে মানুষের বসবাস ছিল। তবে বর্তমানে জায়গাটি জনশূন্য।
ভারতের শ্রীলঙ্কার একেবারে মধ্যবর্তী স্থানে এই ধনুশকোডি জায়গাটি অবস্থিত। এই জায়গা থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মানুষ দিনের বেলায় স্থানটি পর্যটন করতে আসে। তবে সন্ধ্যা নামার আগে এখানে সবার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যা নামার পূর্বেই পর্যটন প্রেমীরা স্থান থেকে নিজেদের গন্তব্য স্থানে ফিরে যান। কারণ প্রত্যেকের মধ্যে এই এলাকাটি বেশ রহস্যময় এবং জায়গাটি বেশ ভুতুড়ে। এই স্থানে ১৯৬৪ সালে বিপদজনক ঘূর্ণিঝড় (Dangerous cyclone in 1964) হওয়ার পূর্বে জায়গাটি ভারতের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র ছিল।
সেই সময় এই স্থানে রেলস্টেশন, হাসপাতাল, গির্জা, পোস্ট অফিস, চারিদিকে বিভিন্ন দোকানপাট থেকে শুরু করে প্রায় সমস্ত কিছুই ছিল। তবে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে ধ্বংস করে দিয়েছিল এই স্থানের সমস্ত কিছু। খবর সূত্রে জানা গেছে, সেই দুর্যোগের সময়ই শত শত ট্রেন যাত্রীরা সাগরের তলায় তলিয়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে এই জায়গাটি জনশূন্য হয়ে পড়ে থাকে। কথিত আছে এই জায়গাতেই তৈরি হয়েছিল রাম সেতু।
পুরান অনুযায়ী, এই স্থানেই ভগবান রাম তার ভক্ত হনুমান ও তার সেনাবাহিনীকে সেতু নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিল। তাই এই স্থানে ভগবান রামের সাথে সম্পর্কিত অনেক মন্দির দেখা যায়। কথিত আছে ভগবান রাম বিভীষণের কথা রাখতে ধনুকের এক প্রান্ত দিয়ে সেতুটি ভেঙ্গে দেওয়ায় এই স্থানের নাম ধনুশকোডি।