আমাদের ভারতের এমন শতশত জিনিস রয়েছে, যা আমাদের দেশকে মর্যাদা প্রদান করে। ভারতে জাতীয় গান (National Song) থেকে শুরু হয়ে জাতীয় পশু-পাখি (National Animal-Bird), জাতীয় খেলা (National Game), জাতীয় ফল (National Fruit) সবই রয়েছে। আমাদের দেশের জাতীয় পশু বাঘ (Tiger)। এই পশুর বৈজ্ঞানিক নাম প্যান্থেরা টাইগ্রিস। অনেকেই হয়তো জানেন না, বাঘকে জাতীয় পশু হিসাবে ১৯৭৩ সালে। গত ২৯ শে জুলাই পালন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস। কোন পশুকে জাতীয় পশু হিসেবে নির্বাচন করার পক্ষে অনেক কারণ থাকে।
তৎপরতা, শক্তি ও দৃঢ়তা এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কারণের ভিত্তিতে বাঘকে জাতীয় পশু হিসেবে নির্বাচন করার হয়। তবে অনেকেরই হয়তো অজানা পূর্বে বাঘের আগে সিংহ ছিল ভারতের জাতীয় পশু। বন্যপ্রাণী বোর্ড সংস্থা সিংহকে ১৯৬৯ সালে জাতীয় পশু হিসেবে নির্বাচন করেছিল। পরে বাঘকে জাতীয় পশু হিসাবে নির্বাচন করা হয় ১৯৭৩ সালে। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে ভারতের জাতীয় পশু বাঘের বিষয় জেনে নেব ..
১) বাঘ হল একপ্রকার বৃহত্তম বিড়াল প্রজাতি। বিশ্বে মোট ৯ টি প্রজাতি বর্তমান। গত ৮০ বছর থেকে মোট ৩ টি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এই তিনটি প্রজাতি হল – জাভা টাইগার, কাম্পিয়ান টাইগার এবং বালি টাইগার।
২) বাঘ সাধারণত লম্বায় ১৩ ফুট প্রায় 90-310 কেজি ওজন সম্পন্ন হয়। এদের আয়ু প্রায় ১০-১৫ বছর পর্যন্ত।
৩) ভারতেই সবচেয়ে বেশি বাঘ অবস্থান করে। গোটা বিশ্বের প্রায় ৭০% ভারতে রয়েছে।
৪) বাঘের গায়ের ডোরাকাটা দাগগুলোও খুবই আলাদা। ঠিক যেন মানুষের আঙুলের মতো। একটি বাঘের গায়ের দাগের সাথে অন্য বাঘের গায়ের দাগে কোনও মিল নেই।
৫) শুধু ভারতে নয়, এছাড়াও বাংলাদেশ, মালেশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়াতেও জাতীয় পশু হলো বাঘ।
৬) একটি বাঘের দৌড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ৬৫ কিমি, একটি প্রাপ্ত বয়স্ক বাঘ প্রায় ৪০ কেজি মাংস একেবারে খেতে পারে।
৭) ৩ কিমি পর্যন্ত একটি বাঘের গর্জন শুনতে পাওয়া যায়। মানুষের চেয়ে বাঘের দৃষ্টিগুণ আরও ভালো। মানুষের থেকে এদের দৃষ্টি ৬ গুণ বেশি হয়।