Skip to content

বাবা ছিলেন ঝাড়ুদার, নিজের যোগ্যতায় ছেলে হয়ে উঠল দুর্দান্ত বোলার! জানুন সুনীল নারিনের জীবন সংগ্রাম

img 20230318 113432

বর্তমানে সুনীল নারিনে (Sunil Narine) এমন একজন খেলোয়াড়, যিনি আলাদা করে কোনও পরিচয়ের উপর নির্ভরশীল নন। এই স্পিন বোলার (Spin Bowler) তার বোলিং করার জাদুতে শুধু ভারতে নয় সারা বিশ্বে অনেক খ্যাতি এবং অর্থ অর্জন করেছেন।  আজ তিনি সারাবিশ্বে একজন পরিচিত খেলোয়াড় হয়ে উঠলেও একটা সময় ছিল যখন তার কাছে ক্রিকেট ব্যাট কেনার টাকাও ছিল না। তবে ছেলের ক্রিকেট খেলার প্রতি আগ্রহ এবং নিষ্ঠা দেখে বাবা পেনশনের টাকা দিয়ে তাকে ব্যাট কিনে দিয়েছিলেন।

Sunil Narine

ওয়েস্ট ইন্ডিজের (West Indies) অন্যতম তারকা বোলার সুনীল নারিনে (Sunil Narine) আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) দলের হয়ে খেলছেন। ২০১২ সাল থেকে তিনি কেকেআর (KKR) থেকে আইপিএল খেলা শুরু করেছিলেন। এর পরে তিনি গত ১০ বছর ধরে এই দলের হয়ে খেলছেন এবং আইপিএল ইতিহাসে সুনীল নারিন কেকেআর-এর সবচেয়ে সফল বোলারও।

Sunil Narine

সুনীল নারিনে (Sunil Narine) টি-টোয়েন্টি (T20 Match) ক্রিকেটে সবচেয়ে মারাত্মক বোলার হিসাবে বিবেচিত হয়। যদিও আজ তিনি যে স্থানে পৌঁছে গেছেন সেখান পর্যন্ত তার যাত্রাপথ এত সহজ ছিল না।  তার বাবা ছোট একটি চাকরি করে সংসার চালাতেন। এ ছাড়া তিনি ট্যাক্সি চালাতেন এবং একটি রেস্তোরাঁয় ঝাড়ুদারের কাজও করতেন।

Sunil Narine with parents

সুনীল নারিনের (Sunil Narine) বাবা শাদীদ নারিনে (Shadid Narine) একবার তার ছেলের ক্রিকেট যাত্রা সম্পর্কে বলেছিলেন যে ছোটবেলা থেকেই আমার ছেলের ক্রিকেটের প্রতি অনেক ভালোবাসা ছিল কিন্তু আমাদের কাছে তার স্বপ্ন পূরণ করার মতো টাকা ছিল না। যে কারণে আমি তার জন্য পুরানো প্যাড কিনেছিলাম আর আমার মা নিজের পেনশনের টাকা দিয়ে সুনীলের জন্য প্রথম ব্যাট কিনেছিলেন।

Sunil Narine

এছাড়াও শাদীদ বাবু জানান, ছেলের স্বপ্নকে সফল করার যাত্রা তাদের পরিবারের সামথ্যের বাইরে ছিল।  কিন্তু তিনি কখনও সাহস হারাননি এবং সবসময় সুনীলকে (Sunil Narine) সমর্থন করেছিলেন। পরিশ্রম ও স্বপ্নের সফলতা অর্জন করতে  তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেন এবং বর্তমানে তিনি আইপিএলের অন্যতম ব্যয়বহুল খেলোয়াড়, যার বার্ষিক আয় কোটি কোটি টাকা।

Sunil Narine with family

সবচেয়ে ভালো বিষয় হল সুনীল নারিনে (Sunil Narine) আজ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হওয়া সত্ত্বেও কিন্তু আজও তার বাবা-মা পুরনো দুই রুমের বাড়িতে থাকেন।