বর্তমানে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গেছে। এর সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিন ক্রমশ বেড়েই চলেছে পেট্রোল, ডিজেল ইত্যাদি জ্বালানির দাম। সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার পেট্রোল এবং ডিজেলের আবগারি শুল্ক কিছুটা কমিয়েছে। তবে তা যথেষ্ট নয়। এখনো যানবাহনে তেল ভরাতে যথেষ্টই চাপ পড়ছে সাধারণ জনতার পকেটে।
এরূপ অবস্থায় শুরু থেকেই ইলেকট্রিক যানবাহন ব্যবহারের দিকে জোর দিয়ে আসছে কেন্দ্র সরকার। ইলেকট্রিক বাইক ব্যবহারের জন্য এক ভর্তুকিরও ব্যবস্থা করেছে মোদি সরকার। কিন্তু চার্জিং স্টেশন না থাকলে বড় পরিমাণে ইলেকট্রিক যানবাহনের ব্যবহার শুরু হওয়া অসম্ভব। তাই এবার চার্জিং পরিকাঠামো তৈরির দিকে জোর দিচ্ছে দিল্লি সরকার।
সম্প্রতি দিল্লি সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে,আপনি মাত্র ২৫০০ টাকা খরচ করলেই ইলেকট্রিক যানবাহনের জন্য চার্জার ইন্সটল করতে পারবেন। দিল্লির পরিবহনমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই চার্জিং স্টেশন তৈরীর জন্য প্রায় ৩০,০০০ আবেদনকারীকে সরকারের তরফ থেকে ৬০০০ টাকা করে ভর্তুকিও প্রদান করা হবে।
সরকারের মতে, এতে তারা সহজেই চার্জিং স্টেশন তৈরি করতে পারবে। দিল্লির পরিবহন মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সরকারের এই পদক্ষেপে ভবিষ্যতে চার্জারের দাম আরও ৭০% কমে যাবে। আগ্রহী ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট ডিসকম পোর্টালে গিয়ে এর জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে।
আবেদনের জন্য কি কি করতে হবে-
১. আবেদনের জন্য প্রথমে সরকারি ডিসকম পোর্টালে যেতে হবে। আবেদন কারী ব্যাক্তিগত চার্জার ইন্সটলেশনের জন্য আগের প্রিপেইড মিটারসহ বিদ্যুত সংযোগটি অব্যাহত রাখতে পারে অথবা নতুন সংযোগও বেছে নিতে পারে।
২. এরপর আপনাকে ইলেকট্রিক যানবাহনের জন্য উপযুক্ত চার্জার সরকারি ওয়েবসাইটের তালিকা থেকে বেছে নিতে হবে। বলাবাহুল্য, এখানে দাম তুলনা করে দেখার সুযোগও আছে।
৩. এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেই আগামী সাতটি কর্মদিবসের মধ্যে সরকার ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
এছাড়াও সাধারন জনগনের সুবিধার জন্য একটি সরকারি হেল্পলাইন নাম্বার রয়েছে। এই হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করেও আবেদনকারীরা এর জন্য আবেদন করতে পারেন। সম্প্রতি দুই চাকা, তিন চাকা এবং অন্যান্য হালকা ইলেকট্রিক যানবাহনগুলোর জন্য মল, অ্যাপার্টমেন্ট, হাসপাতালের আশেপাশে চার্জিং স্টেশন গড়ে তোলার জন্য জোর দিচ্ছে সরকার। এক্ষেত্রে নির্ধারিত চার্জ অনুসারে ইউনিট প্রতি মাত্র ৪.৫ টাকাই দিতে হবে।