Skip to content

ডিম আমিষ না নিরামিষ!‌ অবশেষে বিজ্ঞানীদের গবেষণায় জানা গেল উত্তর

    img 20220730 100501

    প্রোটিন শরীরের জন্য কতটা জরুরি তা কমবেশি সকলেরই জানা। ডিম (Egg) প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। কারণ দিবে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি কমপ্লেক্স থাকে। তবে সমস্যা হলো এই যে নিরামিষ খাবার গ্রহণ করা ব্যক্তিরা ডিম (Egg) খেতে পারেন না।কারণ তারা বিশ্বাস করে ডিম একটি আমিষ জাতীয় খাবার, এটি মুরগি দ্বারা উৎপাদিত হয়।

    Egg

    মাঝেমধ্যে এই সম্পর্কে তর্ক বিতর্ক ওঠে এই যে ডিম নিরামিষ না আমিস(Eggs veg or non-veg) খাদ্য এই বিষয়ে। এই নিয়ে বিজ্ঞানীরা একটি যুক্তি দিয়েছেন আসুন তা জেনে নেওয়া যাক। নিরামিষ ভোজিরা অনেকেই বিশ্বাস করেন, ডিম একটি আমিষ জাতীয় খাবার। কারণ ডিম মুরগী দ্বারা উৎপাদিত হয়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা দিচ্ছেন অন্য যুক্তি।এই যুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পশু থেকেও দুধ আসে।

    সেই দুধ থেকে তৈরি হয় ছানা। তবে সেই ছানা কিভাবে নিরামিষ খাদ্য হলো? সেই অনুযায়ী ডিম কে আমিষ খাদ্য বলা চলে না। ডিম গবেষকরা জানিয়েছেন ডিমের তিনটি স্তর থাকে। প্রথম স্তরে ডিম খোসা দ্বারা আবদ্ধ থাকে, দ্বিতীয় স্তরে থাকে ডিমের সাদা অংশ এবং তৃতীয় স্তর অর্থাৎ ভেতরে থাকে ডিমের হলুদ কুসুম। তবে প্রোটিন থাকে ডিমের দ্বিতীয় স্তর অর্থাৎ সাদা অংশটি তে।

    Egg

    এতে প্রাণীর কোন অংশ থাকেনা। তাই সেই যুক্তিতে ডিম একটি নিরামিষ খাদ্য। ডিমের কুসুম এর কথা বলতে গেলে কুসুমে প্রোটিনের পাশাপাশি থাকে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল ও ফ্যাট। সাধারণত মনে করা হয় একটা মুরগি মোরগের সংস্পর্শে এলে তবেই ডিম তৈরি হয়। কিন্তু এটি সব সময় হয় না। মুরগি মোরগের সংস্পর্শে না এসোও ডিম পাড়তে পারে। কিন্তু কিভাবে? আসুন জেনে নেওয়া যাক।

    একটা মুরগি ছ-মাস পর থেকে ডিম দিতে শুরু করে। সাধারণত একটা মুরগি দিনে ১ টি ডিম পাড়ে। একটি বিষয় জেনে রাখুন মুরগির ডিম পাড়ার জন্য মোরগের সংস্পর্শে আসা বাধ্যতামূলক নয়। এ ধরনের ডিমকে বলা হয় নিষিক্ত ডিম। এই ধরনের ডিম থেকে মুরগি ছানা তৈরি হয় না। তাই বিজ্ঞানীদের দাবি এই ধরনের ডিম নিরামিষ খাদ্যের আওতায় পড়ে।