Skip to content

দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা তৈরি করে ফেলল ‘কৃত্রিম সূর্য’! কিভাবে এই অসাধ্য সাধন করা সম্ভব হলো?

    img 20220924 072828

    বিশ্বে তীব্রভাবে প্রচেষ্টা চলছে কৃত্রিম সূর্য গড়ে তোলার। এর মধ্যে আমেরিকা, ব্রিটেন এবং চীন এই তিনটে দেশ সফল হয়েছে। গত সপ্তাহে ১০০ মিলিয়ন ডিগ্রিতে দক্ষিণ কোরিয়ার বফিন্সে কোন ত্রুটি ছাড়াই একটি ‘কৃত্রিম সূর্য’ জ্বালানো হয়েছিল। প্রকৃত সূর্যের তুলনায় এই কৃত্রিম সূর্যটি প্রায় ৭ গুন বেশি গরম ছিল। কোরিয়ার এই কৃত্রিম সূর্য মাত্র ৩০ সেকেন্ডের জন্য ফিউশন প্রক্রিয়া বজায় রেখেছিল। KSTAR গবেষকরা ফিউশন বজায় রাখার প্রক্রিয়াটিকে ৩০ সেকেন্ডের থেকে পাঁচ মিনিটে  বাড়ানোর লক্ষ্যে রয়েছেন।

    Artificial Sun

    কোরিয়া ইনস্টিটিউট অফ ফিউশন এনার্জির প্রেসিডেন্ট ইয়ু সুক (Yoo Suk, president of the Korea Institute of Fusion Energy) জানিয়েছেন, ‘ফিউশন শক্তি থেকে একপ্রকার গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয় এবং এই গ্যাসের উচ্চ মাত্রায় কোনও তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পদার্থ নেই। এই শক্তি প্রায় সীমাহীন। তবে সাময়িক অগ্রগতির ফলে এই ফিউশন শক্তি সীমিত।’

    কেন গবেষকরা নকল সূর্য বানাতে চাইছেন ?

    SUN

    গবেষকদের মতে, এই ‘কৃত্রিম সূর্য’ তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের গ্যাস সংকট নিরসনের জন্য ‘সীমাহীন’ ফিউশন শক্তির দৌড়ে। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, তারা পারমাণবিক ফিউশন চুল্লি থেকে সীমাহীন শক্তি অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছেছেন।

    যেসব জায়গায় পরীক্ষা সফল হয়েছে

    পূর্বে ১০ হাজারটি বাড়িতে বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য
    অক্সফোর্ডের কাছে জেট নিউক্লিয়ার ফিউশন রিঅ্যাক্টর যথেষ্ট শক্তি উৎপাদন করেছে। এই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই ১৫০ মিলিয়ন ডিগ্রিতে একটি দল টেকসই ফিউশন এর সাথে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।

    কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষাটি করা হচ্ছে?

    অক্সফোর্ডের কাছে অ্যাবিংডনে একটি পরীক্ষামূলক চুল্লিতে ব্রিটেন এবং সমগ্র ইউরোপ থেকে ৪৮০০-র বেশি বিজ্ঞানী যৌথ ইউরোপীয় টরাস বা জেট কাজ করছে। এটি ৫৯ মেগাজুল শক্তির বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে এবং সূর্যের কেন্দ্র থেকে এটি দশ গুণ বেশি গরম।

    Artificial Sun

    ফিউশন রিঅ্যাক্টরগুলি হাইড্রোজেনকে প্লাজমাতে ফুটিয়ে কাজ করার অবস্থায় হিলিয়াম নিউক্লিয়াস গঠনের জন্য প্রোটন গুলি একসাথে ভেঙে যাওয়ার কারণে তা যথেষ্ট গরম হয়। এটি সেই সাদৃশ্য সম্পন্ন প্রক্রিয়া যা সূর্য সহ প্রতিটি নক্ষত্রের কেন্দ্রে ঘটে – এবং এইচ-বোমাতেও। পারমাণবিক বিভাজনের চেয়েও ফিউশন জ্বালানি ওজন দ্বারা প্রায় চার গুণ বেশি শক্তি প্রকাশ করে, যা জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর চেয়ে চার মিলিয়ন গুণ বেশি শক্তি উৎপাদনের সক্ষম এছাড়াও ইউরেনিয়ামের মতন ভারী জীবাশ্ম গুলোকে বিভক্ত করতে সক্ষম হয়।