সানডে হো অ্যা মানডে রোজ খাও আনডে, ডিম (Egg) খেতে আমরা সকলেই ভালবাসি। সেদ্ধ ডিম হোক অথবা ডিম ভাজা, তাতে গরম গরম ডিম থাকলে আর কোন কথাই নেই। ডিমের জনপ্রিয়তা আলাদা করে বলার কিছু নেই। প্রত্যেকদিন একটি করে ডিম খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়ে যাবে শতগুন। কিন্তু যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারেন না ঠিক কোন ডিম খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
মুরগির ডিম নাকি হাঁসের ডিম (Egg), কোন ডিম খেলে বেশি সুস্থ থাকা যায় তা নিয়ে তর্ক বিতর্ক তৈরি হয়েছে বহু। এমনিতেই মুরগির ডিমের তুলনায় হাসির ডিম অনেকটা বড় হয়। খোসাও হয় মুরগির তুলনায় অনেক বেশি শক্ত। তাই একটু বেশি সময় ভালো থাকে হাঁসের ডিম। তবে টাটকা যেকোনো ডিমই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণ উপকারী। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক পুষ্টিগুণের দিক থেকে কোন ডিম এগিয়ে রয়েছে।
পুষ্টিগুণে কে এগিয়ে রয়েছে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিম থেকে ১৮৫ কিলো ক্যালরি এনার্জি পাওয়া যায়। মুরগির ডিম থেকে পাওয়া যায় ১৫৯ কিলো ক্যালোরি। কার্বোহাইড্রেট এবং মিনারেলের পরিমাণ দুটো ডিমেই থাকে সমান সমান। সমপরিমাণে থাকে সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, দস্তা, তামা আয়রন। তবে হাঁসের ডিমে প্রোটিন এবং ভিটামিনের পরিমাণ কিছুটা হলেও বেশি থাকে।
কোন ডিমে ফ্যাট বেশি?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ থাকে ৩.৬৮ গ্রাম, যেখানে মুরগির ডিমে থাকে ৩.১ গ্রাম। আবার হাঁসের ডিমে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ থাকে মুরগির ডিমের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। দুটি ডিমেই সমপরিমাণ থাকে থ্রিওনিন, আইসোলিউসিন, ট্রিপটোফ্যান, টাইরোসিন, ফেনিলালানিন, ভ্যালাইন, সেরিন, গ্লাইসিন, প্রোলিন, অ্যাসপারটিক অ্যাসিড, হিস্টিডিন, অ্যালানিন ও আর্জিনিনের মতো সব ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড।
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী কোন ডিম?
বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী হাঁসের ডিম মুরগির ডিমের তুলনায় বেশি পুষ্টিকর কারণ এই ডিমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে যেখানে পাওয়া যায় ৮৮৪ মিলিগ্রাম কোলেস্টাল সেখানে মুরগির ডিমে পাওয়া যায় ৪২৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। ঠিক এই কারণেই চিকিৎসকরা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষদের হাসির ডিম খেতে নিষেধ করছেন। যারা হাই প্রোটিন ডায়েট করছেন তারা হাঁসের ডিমের কুসুম ছাড়া সাদা অংশটি খেতে পারেন অনায়াসে। তবে সামান্য পরিমাণ হলেও মুরগির থেকে হাঁসের ডিমের পুষ্টিগুণ বেশি। তা স্বীকার করতেই হয়।