কথাতেই আছে, সময় নষ্ট করলে কিংবা সময় চলে গেলে আর তা ফিরে পাওয়া যায় না। তাই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ঘড়ি (Watch) আমাদের জীবনে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় একটা জিনিস। ঘড়ি না থাকলে আমাদের জীবন একেবারেই অচল হয়ে পড়বে। দেওয়াল ঘড়ি না থাকলেও আমরা স্মার্টফোন কিংবা স্মার্টওয়াচে সব সময় সময় লক্ষ্য করি।
তবে বাড়িতে থাকলে আমাদের চোখ সব সময় চলে যায় দেওয়ালে টাঙানো দেওয়াল ঘড়ির দিকে। বাড়ির বড়োরা ছোটবেলা থেকেই আমাদের ঘড়ি দেখা রপ্ত করায়। ঘড়িতে প্রধানত তিনটে কাঁটা থাকে। একটি বড় কাঁটা, একটি মাঝারি মাপের কাঁটা এবং একটি ছোট কাঁটা।
এই তিনটি কাঁটার মধ্যে একটি মিনিটের কাঁটা, একটি ঘন্টার কাঁটা এবং একটি সেকেন্ডের কাঁটা। তবে এমনভাবে কেন তৈরি করা হয় জানেন? আসলে এর পিছনে একটি কারণ রয়েছে। আজ থেকে বহু বছর আগে ঘড়ি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় যদি কোন কারণে ঘড়ি বন্ধ হয়ে যেত তাহলে আবার তাকে চালু করতে হতো। তখন হাতে করে ঘড়ির কাঁটা ঘুড়িয়ে দেওয়ার চল ছিল।
ঘড়ি বন্ধ হয়ে গেলে ঘন্টার কাঁটা ঘোরানোর জন্য হাতে করে মিনিটের কাঁটা ঘোরাতে হত। ঘন্টার কাঁটা যদি মিনিটের কাঁটার সমান বা বড় হতো তাহলে ঘোরানোর সময় মিনিটের কাঁটায় হাত লেগে সেটাও ঘুরে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সামান্য স্পর্শেই সময়ের হিসাবে গন্ডগোল হয়ে যেত। তাই সব সময় মিনিটের কাঁটা ঘন্টার কাঁটার থেকে বড় হয়। এছাড়াও যদি ঘন্টার কাঁটা এবং মিনিটের কাঁটা সমানভাবে তৈরি হত, তাহলে আমরা নিজেরাই বুঝতে পারতাম না যে কোনটি ঘণ্টা এবং কোনটি মিনিটের কাঁটা।
এছাড়াও যদি মিনিটের কাঁটা ঘন্টার কাঁটা তুলনায় ছোট হতো, তাহলে সেটা ছুঁতে পারত না প্রত্যেক অক্ষরকে। তখন আমাদেরই বুঝতে অসুবিধা হতো কত ঘন্টা বেজে কত মিনিট হয়েছে। এই কারণেই সব সময় ঘড়িতে মিনিটের কাঁটা ঘন্টার কাঁটার চেয়ে বড় হয়।