সম্প্রতি, মিজোরাম পুলিশ মোট ১৪০ টিরও বেশি প্রজাতির মিয়ানমার থেকে পাচার করা প্রাণীকে ধরতে পেরেছে। এই প্রাণীগুলির মধ্যে দুটো অনন্য প্রজাতির প্রাণীও রয়েছে। প্রাণীগুলো খুবই মিষ্টি দেখতে এবং এতটাই ছোট আকৃতির যে এগুলি সহজেই হাতের মুঠোয় চলে আসে। এই ছোট্ট প্রাণীগুলোকে কোন প্রজাতির জানেন? এগুলি বানর প্রজাতির প্রাণী। যার নাম – ‘মারমোসেট’ (Marmoset )। এই প্রাণীগুলোর সন্ধান পাওয়া যায় দক্ষিণ আমেরিকার গ্রীষ্মমন্ডলীয় রেইনফরেস্টে। এছাড়াও বেশ কিছু প্রজাতি পাওয়া যায় মধ্য আমেরিকায়।
খবর সূত্রে জানা গেছে ২০ টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে এই প্রাণীর। এগুলি ‘পিগমি মারমোসেট’ (Pygmy marmoset) প্রজাতির। এই প্রাণীগুলোকে পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট প্রাণী হিসেবে গণ্য করা হয়। এদের সম্পূর্ণ বড় হওয়ার পর ওজন হয় মাত্র ১০০ গ্রাম। এই প্রাণীগুলো সাধারণত ব্যবহার করা হয় মানুষের রোগ এবং বার্ধক্যজনিত রোগের গবেষণার জন্য। কারণ তাদের শরীরের সাথে মানুষের শরীরের অনেক সাদৃশ্য পাওয়া যায়।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারেও এই প্রাণীর চাহিদা রয়েছে। ভারতে যদিও বানর রাখা বেআইনি কিন্তু তবুও ভারতে মারমোসেটের দাম ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। তাই এগুলো পাচার করা হয়। মারমোসেটের মুখ সাধারণত চুলে ঢাকা থাকে এবং গায়ের রং ধূসর, সাথে লেজে গাঢ় এবং হালকা রিং-এর মতো বর্তমান। কানে সাদা ফ্লেক্স দেখা যায়।
এদের জীবনকালের সময় গড়ে মাত্র ১২ বছর। এদের খাদ্য হল গাছের রস এবং আঠা। লেজের দৈর্ঘ্য ২৫ থেকে ৪০ সেমি। এছাড়াও তারা খাদ্য হিসাবে পোকামাকড়, শামুক, টিকটিকি, ফলমূল ইত্যাদি খাবার খায়। গ্রীষ্ম জলবায়ুতে অবস্থিত এগুলো উষ্ণ মন্ডলীয় প্রাণী, অত্যন্ত বুদ্ধিমান এরা।