Skip to content

প্রাচীনকালে চিঠি পাঠানোর মাধ্যম হিসেবে অন্য পাখি ছেড়ে শুধুমাত্র পায়রাকে-ই কেন বেছে নেওয়া হয়েছিল!

৯০ দশকের বিভিন্ন বলিউড সিনেমাতে আপনারা হয়তো নিশ্চয়ই দেখেছেন কবুতরের (Pigeon) মাধ্যমে প্রেমের অথবা যেকোনো চিঠি পাঠানো হয়। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না এই কবুতরের মাধ্যমে চিঠি পাঠানোর ব্যাপারটি শুধু চলচ্চিত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল তা নয়, বরং প্রাচীনকালে প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে চিঠি পাঠানোর জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো। এখন স্মার্ট ফোনর যুগে চিঠির পরিবর্তে ফোন থেকে ফোনে মেসেজ দিয়ে মনের কথা আদান প্রদান করা যায়। কিন্তু এমন একটা সময় ছিল যখন ফোন ছিল না, তখন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে মনের বার্তা পাঠানোর জন্য চিঠি থেকে কবুতরকে দেওয়া হতো।

Pigeon

 

কিন্তু আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন কেন প্রাচীনকালে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য এত ধরনের পাখির মধ্যে কেন শুধুমাত্র কবুতরকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল? আসলে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে প্রমাণিত হয়েছে যে, কবুতর অর্থাৎ পায়রার (Pigeon) একটি বিশেষ গুণ রয়েছে আর সেটি হল, এই পাখি খুব সহজেই তার গন্তব্যের  রাস্তা মনে রাখতে পারে, পথ ভুলে যায় না। বিশেষত তারা যদি সেই পথ দিয়ে পূর্বে একবার যাতায়াত করে, তাহলে সেটা তাদের দীর্ঘকাল মনে থাকবে।

Pigeon

কবুতর অর্থাৎ পায়রার (Pigeon) শরীরে এমন এক ধরনের বিশেষ সিস্টেম রয়েছে যা কতটা কাজ করে জিপিএস এর মত। এর ফলেই কবুতর অর্থাৎ পায়রা কোনদিন নিজের গন্তব্যের রাস্তা ভুল করে না। কোনও কারণে যদি পথ হারিয়েও ফেলে তাহলে নতুন পথ খুঁজে বের করে সঠিক স্থানে পৌঁছে যাওয়ার মতন দক্ষতা রয়েছে এই পাখির। মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, কবুতর অর্থাৎ পায়রার শরীরের ৫৩ ধরনের বিশেষ কোষের একটি অংশ রয়েছে, যার মাধ্যমে একমাত্র এই পাখিটি সহজেই সবকিছু মনে রাখতে পারে এবং চিনতে পারে। মানুষের মতো পায়রাও দিক নির্দেশ করতে পারে।

White pigeon

এছাড়াও বৈজ্ঞানিকরা জানিয়েছেন, কবুতর অর্থাৎ পায়রার চোখের রেটিনায় একটি বিশেষ ধরনের প্রোটিন অবস্থিত যার কারণে সহজেই এই পাখির দিক নির্দেশ করে জিনিসগুলো চিনতে পারে। ঠিক এই সমস্ত কারণের জন্যই প্রাচীনকালে গুরুত্বপূর্ণ চিঠি আদান প্রদানের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কবুতর অর্থাৎ পায়রা’কে ব্যবহার করা হতো। তবে বর্তমানে স্মার্টফোনের যুগে এই চল আর নেই।