Skip to content

রাজ্যের একাধিক জেলাতে আগামীকাল থেকে টানা চার দিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা, ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

    পশ্চিমবঙ্গ ফের বৃষ্টিতে ভিজবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। গত কয়েক সপ্তাহ আগে বাংলার আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল এবং বেশ ভালই বৃষ্টি হয়েছে। তারপর ধীরে ধীরে আবহাওয়া রোদ্রজ্জল হতে থাকে। কিন্তু ফের বাংলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। শুধু বৃষ্টি নয় তার সাথে হবে বজ্রপাত ও। এই বৃষ্টিপাতের ফলে শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃষ্টির প্রভাব বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে বেশি পড়বে।

    Rainfall

    আবহাওয়া দপ্তর এর খবর অনুযায়ী, পূর্ব ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্জা দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প ঢুকছে। আগামী বুধবার থেকে এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গ সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা বৃষ্টিতে ভিজতে চলেছে। আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ 11 জানুয়ারি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। তারপর বুধবার অর্থ 12 ই জানুয়ারি বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। তারপর এই বৃষ্টিপাত শুক্রবার অর্থাৎ 14 জানুয়ারি পর্যন্ত চলতে থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের শুধুমাত্র বৃষ্টিপাত হলেও উত্তরবঙ্গে 12 তারিখ থেকে 14 তারিখ পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    অসময়ে এই বৃষ্টিপাতের ফলে খুবই খারাপ প্রভাব পড়বে চাষের ক্ষেত্রে। এই বর্ষণের ফলে শস্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। সরকারের তরফ থেকে চাষি ভাইদের উদ্দেশ্যে 11 তারিখের মধ্যেই মাঠ থেকে শস্য তুলে নিতে বলা হচ্ছে। কারণ তা না করলে চাষি ভাইদের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তাছাড়া ও উদ্যানপালন এর ক্ষেত্রেও এর খারাপ প্রভাব পড়বে। অন্যদিকে এই বৃষ্টিপাত পাহাড়ি পর্যটকদের জন্য খারাপ খবর। ওই কয়দিন আকাশ মেঘলা থাকায় দৃশ্যমানতা(visibility) কমবে। এটি পর্যটকদের পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখার বাধা সৃষ্টি করবে। এছাড়াও পাহাড়ি পর্যটকদের সাবধানে যাতায়াত করার কথা বলা হচ্ছে।

    Winter

    গত কয়েক সপ্তাহ আগে জাঁকিয়ে শীত পড়লেও নতুন বছরের শুরুতে শীত তার তাপমাত্রা হারিয়েছে। তাপমাত্রার পারদ কিছুটা বেড়েছে। কারণ মাঝেমধ্যেই এই অকাল বর্ষণ রাজ্যে জাঁকিয়ে শীত পড়ার প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবে এবার কখন রাজ্য কনকনে শীত পড়বে তা এখনই পরিষ্কারভাবে বলা যাচ্ছে না। এরকম মাঝেমধ্যে অকাল বর্ষণ হতে থাকলে হয়তো নিঃশব্দে শীত পেরিয়ে গ্রীষ্মকালের দিকে আবহাওয়া অগ্রসর হতে পারে। যা একদমই কাম্য নয়। তবে আশা করা যাচ্ছে পশ্চিমী ঝঞ্জা যতশীঘ্র কাটবে তখনই রাজ্যে উত্তরে হাওয়া প্রবেশ করবে এবং কনকনে শীত পড়বে।