Skip to content

আবারও বাড়লো মোবাইলের দাম, নির্মলা সীতারমণের বাজেট ২০২১ এ রয়েছে একাধিক বড় পরিবর্তন, জানুন খুঁটিনাটি

প্রকাশিত হল বর্তমান অর্থ বর্ষের বাজেট । ভারতের এটি প্রথম পেপারলেস বাজেট। আসুন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আজকে যে বাজেট পেশ করলেন তাতে কি কি বলা হয়েছে বিস্তারিত দেখে নেওয়া যাক।

বাজেটে প্রথমে জানানো হয় ইনকাম ট্যাক্স এ বড় ধরনের ছাড় পেতে চলেছে প্রবীণ নাগরিক রা। অর্থমন্ত্রী জানান 75 বছর বয়স হয়ে গেলে আর এখন ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন করতে হবে না। এর ফলে প্রবীণ নাগরিকরা অনেকটা স্বস্তি পেলেন।

বাজেটের আরেকটি সবচেয়ে বড় চমক হল স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ অর্থ। এবছর বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বড় অঙ্কের টাকা বরাদ্দ হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ মোট টাকা হল 2 লক্ষ 83 হাজার কোটি টাকা। এবং কোভিড এর প্রতিষেধক এর জন্য 35 হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে কেন্দ্রের এই বাজেটে। এছাড়াও জানানো হয়েছে ভারতের হাতে এখনো দুটি আরো প্রতিষেধক আসতে চলেছে।

বাজেট

একেই তো দেশ অর্থনীতি চরম সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, উপরন্তু তারপরে করোনা মহামারী দেশে দেখা দিলে অর্থনীতির অবস্থা সংকটজনক হয়ে যায়। 2020-21 অর্থবর্ষে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে মোট GDP এর 9.5% আগামী অর্থবছরে GDP এর ঘাটতি 6.8% করার পরিকল্পনা আছে। এবং 2025-26 অর্থবর্ষে এই GDP ঘাটতি 4.5% এ নামিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এবং 5 লক্ষ কোটি টাকার অর্থনীতি গড়ার ও আশ্বাস দিয়েছেন।

2022 সালের 22 মার্চ পর্যন্ত গৃহঋণের 1.5 লক্ষ টাকা ছাড় দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও সরকার পরিচয় শ্রমিকদের জন্য কম ভাড়ায় ঘরের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করছে।

আজকের বাজেট এর সম্বন্ধে সম্পূর্ণ তথ্য দেখে নেওয়া যাক।

  •  75 বছরের বেশি বয়সের ব্যক্তিদের আর ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন করতে হবে না।
  • দেরিতে পিএফ এর টাকা জমা করলে আর টাকা কাটা হবে না।
  • পরিবেশবিদদের স্বল্প ভাড়ায় ঘর দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে
  • GST এর আদায় এর প্রক্রিয়া সরল করা হবে।
  • স্টার্ট অ্যাপ গুলিকে আরো এক বছর কর ছাড় দেওয়া হবে।
  • সোনা রুপা আমদানি শুল্কের পর্যালোচনা করা হবে।
  • টানেল বরিং মেশিনের যন্ত্রাংশ শুল্ক ছাড় দেওয়া হবে।
  • মোবাইল জাতীয় যন্ত্রাংশে 2.5% আমদানি শুল্ক করা হবে।
  • দেরিতে EPF জমা দেওয়া সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে এবার থেকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • সব স্তরের শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি পাবেন, এবার থেকে মহিলারাও নাইট শিফটে কাজ করতে পারবেন এবং তাদের সম্পূর্ণ সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
  • আগামী অর্থবছরের জিডিপি এর পরিমাণ 6.8 % করার পরিকল্পনা রয়েছে।
  • চা শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে।
  • সৈনিক স্কুল হবে পিপিপি মডেল এ।
  • বাংলা অসমের চা শ্রমিকদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।

  • বর্তমান অর্থবর্ষে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ মোট GDP এর 9.5%।
  • আদিবাসী এলাকায় 750 টি নতুন মডেল স্কুল প্রতিষ্ঠা।
  • পাঁচটি নতুন বন্দর তৈরি করা হচ্ছে মাছ ধরার জন্য।
  • স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
  • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গুলিতে 15 হাজার 700 কোটি টাকা বরাদ্দ।
  • গ্রামীণ পরিকাঠামো তহবিলে 40 হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
  • উজ্জ্বলা যোজনায় আরো 1 কোটি মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
  • ভারতের গগনযান মিশনের জন্য রাশিয়ায় চারজন মহাকাশচারী কে ট্রেনিংয়ের জন্য পাঠানো হবে।
  • জনজাতি এলাকায় 758 টি নতুন স্কুল প্রতিষ্ঠা করা।
  • কৃষকদের জন্য 75 হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
  • কৃষকদের কল্যাণে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
  • 2022 সালে এয়ার ইন্ডিয়া তে বিলগ্নীকরণ করা হবে।
  • জম্মু-কাশ্মীরের নেওয়া হচ্ছে গ্যাস লাইন প্রকল্প।
  • তৈরি করা হচ্ছে উচ্চশিক্ষা কমিশন।
  • এবার থেকে বীমা রাশি 1 লক্ষ থেকে 5 লক্ষ টাকা করা হলো।
  • ব্যাঙ্কে ফিক্স ডিপোজিটে সুরক্ষা বীমা দেওয়া হবে।
  • যেসব সংস্থা গুলি থেকে লাভ হচ্ছে না সেইসব সংস্থাগুলিকে বিক্রির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
  • সৌর শক্তির জন্য দেশে আরও এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলো।
  • রেলের মূলধন খাতে 1 লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
  • 20 টি বড় স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে।
  • পশ্চিমবঙ্গের 675 কিলোমিটার সড়ক বানানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
  • পশ্চিমবঙ্গের রাস্তা সংস্কারের জন্য 25 হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এবং কোলকাতা শিলিগুড়ি রাস্তা সংস্কার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
  • জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ গুলি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
  • মুম্বাই থেকে কন্যাকুমারী 600 কিলোমিটার করিডোর তৈরি করা হবে।
  • খড়গপুর থেকে বিজয় ওয়ারা ফ্রেট করিডোর নির্মাণ করা হবে।
  • মেট্রো নিউ এবং মেট্রো লাইড দুটি প্রকল্প তৈরি করা হবে।

  • দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের বন্টনের দায়িত্ব একাধিক বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হচ্ছে।
  • পরিকাঠামো কে উন্নত করার লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
  • SEBI আইনের পরিবর্তন করা হচ্ছে।
  • স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করে তুলতে রয়েছে এক বিশেষ প্যাকেজ। প্যাকেজটি হলো 68 হাজার 180 কোটি টাকার।
  • জেলায় জেলায় তৈরি হবে ল্যাবরেটরি।
  • করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে 35 হাজার কোটি টাকা।
  • শিশু পুষ্টিকরণে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এবং গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলিকে শক্তিশালী করার প্রয়াস চালানো হচ্ছে।
  • করোনাভাইরাস এর জন্য আরও দুটি নতুন প্রতিষেধক অর্থাৎ ভ্যাকসিন আসতে চলেছে।
  • এই বাজেটে পরিবেশ সম্বন্ধে ও নজর রাখা হয়েছে। পরিবেশ রক্ষার জন্য 2 হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
  • দেশের সমস্ত পুরনো গাড়ি বাতিল করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
  • সরকারের যে আত্মনির্ভর প্রকল্পে হবে তা মোট জিডিপি এর 13% হবে।
  • রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া করণা মহামারীর জন্য 27 লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
  • স্বচ্ছ ভারত অভিযানের জন্য এক লক্ষ 41 হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে এ বছরের বাজেট পেশ করা সত্যিই এক ঐতিহাসিক বিষয়। করোনার জন্য অনেকে প্রিয়জনদের হারিয়েছেন। বউ মানুষ বেকারত্বের জ্বালা তে ভুগছেন। তাই কঠিন পরিস্থিতিতে সরকার জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে এক অভূতপূর্ব বাজেট পেশ করল। এই বাজেট পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তাই দেশের সব বর্গের মানুষদের কথা মাথায় রেখেই বাজেট টি পরিকল্পনা করা ও পেশ করা হয়েছে।আগামী দিনে পরিকল্পিত বাজেটটি কে বাস্তবায়িত করাই সরকারের মূল উদ্দেশ্য।