আজ সারা পৃথিবী বিজ্ঞানের বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নতির চূড়ায় পৌঁছেছে। গভীর জঙ্গল থেকে শুরু করে মহাজাগতিক সমস্ত ঘটনাই বিজ্ঞানের বানানো লেন্সের মাধ্যমে খুঁজে চলেছি আমরা। তা সত্ত্বেও আজও পৃথিবীতে এমন অনেক রহস্যজনক ঘটনা বর্তমান যা বিজ্ঞানের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। কথায় আছে প্রকৃতির চেয়ে শক্তিশালী আর কিচ্ছু নয়। আর এটাই সত্যি। বেশ কিছু অতিপ্রাকৃতিক রহস্যময় বিষয়ে উত্তর দেওয়া বিজ্ঞানের কাছে অসাধ্য।
ভারত (India) এমন একটি স্থান যেখানে বহু বছর ধরে দর্শনশাস্ত্র এবং বিজ্ঞানের মেলবন্ধন ঘটে চলেছে। আমাদের দেশের বেশিরভাগ পর্যটন স্থানই ঐতিহাসিক নিদর্শনে গড়ে ওঠা দেব-দেবীর মন্দির। এসব ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একা বিজ্ঞানের পক্ষে সমস্ত উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। প্রাচীনকাল থেকে এমন অনেক ঘটনা ঘটে চলেছে, যা সবটা বুঝে রহস্য উন্মোচন করা বিজ্ঞানের পক্ষে সম্ভব নয়। যদিও এমন অনেক অপ্রাকৃতিক ঘটনাই জনমানুষের কৌতুহল তোলে আর তার ফলেই শুরু হয় গবেষণা। ঠিক তেমনি একটি রহস্যজনক স্থান হলো উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া জেলায় অবস্থিত কাসার দেবীর মন্দির (Kasar Devi temple is located in Almora district of Uttarakhand)।
NASA -ও এই স্থানের রহস্য ভেদ করার জন্য বিশেষভাবে আগ্রহী। ভারতের বিভিন্ন স্থানে যেমন শক্তিপীঠ ছড়িয়ে রয়েছে তেমন এই উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া জেলার মন্দির। এই মন্দিরের চারপাশের এক অদ্ভুত সীমাহীন শক্তিকে জনমানুষে অনুভব করতে পারে। যে স্থানে মন্দিরটি অবস্থিত সেখানের দৃশ্যটি খুবই মনোরম। হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এই মন্দির বহু টুরিস্টদের (Tourist Place) কাছে ভীষণ আকর্ষণীয়।
প্রকৃত অর্থে এই অঞ্চলটি ওয়ান অ্যালেন বেল্টের মধ্যে পড়ছে যেখানে পৃথিবীর বিশাল চৌম্বকীয় দেহর অবস্থান অনুভব করা যায়। সারা পৃথিবীতে এমন আরও দুটি স্থান রয়েছে তা হল পেরুর মাচু-পিচু (Peru’s Machu Picchu) এবং ইংল্যান্ডের স্টোন হেং (England’s Stonehenge)। দীর্ঘ ২ বছর ধরে বিজ্ঞানীরা এই দেশে গবেষণা করে চলেছেন।
উল্লেখ্য, ১৮৯০ সালে এই স্থানে স্বামী বিবেকানন্দ (Swami Vivekananda) এসেছিলেন। ১ মাস তিনি ছিলেন এখানে। বর্তমানে দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য পর্যটক এখানে বেড়াতে আসেন। অসংখ্য মুনি-ঋষি’রাও এখানে উপস্থিত ছিলেন। প্রস্তর যুগের বহু নিদর্শন পাওয়া যায় এখানে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় এই কাসার মন্দিরের চারপাশে ভীষণভাবে চৌম্বকীয় শক্তি অনুভূত হয়। তবে কেন এমন হয় তা জানা যায়নি।