সমাজ এত এগিয়ে যাওয়ার পরেও, মেয়েরা যে সব কিছুতে সবার চেয়ে এগিয়ে তা প্রমাণ করার পরেও এখনো বহু জায়গায় কন্যা সন্তান হলে অনেক শিক্ষিত পরিবারের খুশি হয় না। গ্রামের দিকে কন্যা সন্তান হলে অখুশি হওয়ার দৃশ্য প্রায়শই দেখা যায় কিন্তু শুধু গ্রামের নয় এই ঘটনা শহরে অনেক বড় বড় বাড়িতেও ঘটে থাকে। সেখানে কন্যা সন্তানকে খুবই অবজ্ঞা অবহেলা সঙ্গে বড় করে তোলা হয়।
তবে এ ব্যাপারে সবাই এক মানসিকতা পোষণ করে না। তাই এবারে দেখা যাচ্ছে সেই দৃশ্য, একজন একজন পিতা বহু বছর পর কন্যা সন্তান হওয়ার আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছেন। তবে শুধু পিতার কারণ পুরো পরিবারের সাথে গ্রামের সকল সদস্যও আনন্দে মাতোয়ারা। নাচ গান বাজনা করে হাসপাতাল থেকে সেই ফুটফুটে কন্যা সন্তানকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। আসলেই এই প্রতিবেদনটিতে ঘটনাটি সম্পর্কে আপনাদের বলি।
৮০ বছর পর এ পরিবারে জন্ম নিয়েছে এক কন্যা সন্তান। মধ্যপ্রদেশের শেওপুর জেলার গণভাদা অঞ্চলে এই কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ার উপলক্ষে বড় করে উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। কুন্দন বৈরাভা মিডিয়াকে বলেছেন- ৮০ বছরের অপেক্ষার অবসানের পর তাদের পরিবারে ঘর আলো করে কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে।
কুন্দন বৈরাভা সাংবাদিকদের বলেছেন, তার নিজের কোন বোন নেই। তার দুটি সন্তানই পুত্র সন্তান। সেই কারণে ভাতৃবধূ প্রসব যন্ত্রণা কাতরালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরই সে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্ম দেয়। আমাদের পরিবারে কোনো মেয়ের সন্তান না থাকায়, আজ ৮০ বছর পর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়। তাই সেই খুশিতে গ্রামের সকলে এত আত্মহারা হয়ে পড়ছেন। এছাড়াও তিনি বলেছেন,
এখনো অনেক জায়গায় দেখা যায় কন্যা সন্তানকে অবহেলা করতে। কিন্তু কন্যারাও যে পুত্রের চেয়ে কোন অংশে কম নয় তা বহুবার প্রমাণিত হয়েছে। আমরা যদি একটি কন্যা সন্তানকে সঠিক শিক্ষা লালন পালন করি এবং তাদের নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে সাহস জাগাই তবে একটি কন্যা সন্তানও নিজের প্রতিভার দরুণ ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়।’
এই ছোট্ট শিশুটি আসার আনন্দে তার ঘর ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে এছাড়াও সাদা কাপড়ে তার আলতা মাখানো ছোট পায়ের ছাপ দিয়ে তাকে আহ্বান জানিয়ে তার স্মৃতি সংরক্ষণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই নেট দুনিয়ায় এই খবর ছড়িয়ে পড়েছে এবং সকলেই এই পরিবারের মানসিকতা দেখে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন।