খবরে প্রায়ই দেখা যায় বিজ্ঞানীরা মহাকাশ থেকে শুরু করে পৃথিবীর যাবতীয় বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চলেছেন। তবে এ বিষয়েও পিছিয়ে নেই প্রত্নতাত্ত্বিকরা। তারাও নিজেদের দায়িত্ব অনুসারে খুঁজে চলেছেন অতীতের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলি। পৃথিবীর বুকে এখনো অনেক প্রাচীন সভ্যতা লুকিয়ে আছে। যার সন্ধান আজও মানুষের পাওয়া মুশকিল আর প্রত্নতাত্ত্বিকরা অতীতের সেই সমস্ত অজানা জিনিসকেই খুজে এনে মানুষের সামনে হাজির করতে চায়। সম্প্রতি ২০০০ সালের পুরনো একটি বাড়ি খুঁজে পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
প্রকৃত অর্থে, এই বিলাসবহুল পুরনো বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে জার্মানির বাভারিয়ার কেম্পটেনে (Kempten) খনন কার্য চালিয়ে। এই স্থানটি অত্যন্ত প্রাচীন বসতিপূর্ণ। প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানিয়েছেন, এই প্রাচীন বাড়িটি ২০০০ বছরের পুরনো একটি প্রাসাদ। যা প্রধানত জার্মানিতে অবস্থিত ছিল। ক্যাম্পটনে প্রায় ২০০০ বছর পূর্বে বসতি স্থাপন হয়েছিল এবং এটি ছিল জার্মানির অত্যন্ত প্রাচীনতম শহর। আগে এই শহরটি কম্বোডুনাম (Cambodunum) নামে পরিচিত ছিল।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রায়ই এই স্থানে খনন কার্য চালাত। এই পুরনো তথ্যাদিতে বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, এই স্থানটি আরো ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে জনমানুষের সামনে ইতিহাস সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসবে।
হদিস পাওয়া এই দোতলা তল বিশিষ্ট এই পুরোনো ভিলাটির দৈর্ঘ্য ৮০০ বর্গ মিটার। সেই সময় রোমান ভিলাতে শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাপীয় স্থান এবং আন্ডারফ্লোর হিটিংয়ের ব্যাবস্থা থাকতো। খবর সূত্রে জানা গেছে, এই শহরটি নির্মিত হয়েছিল রোমান গ্রিডের পরিকল্পনা অনুযায়ী। শহরে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পাওয়া গিয়েছিল এই স্থানে। হদিস পাওয়া এই পুরনো ভিলা থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় ক্যাম্পটনে শহুরে ব্যবস্থার চল শুরু হয়েছিল।