বহুকাল আগে থেকেই গঙ্গা নদীর সাথে তিলোত্তমা শব্দটি এক বিশেষ সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হয়। কারণ প্রতিদিনই অতি সুন্দর, স্নিগ্ধ সাজে সেজে ওঠে এই গঙ্গা নদী। ঠিক এমনই সুন্দর শহর হল কলকাতার যেখানে বাস, ট্রেন, ট্রাম, মেট্রোর সাথে রয়েছে অপার গঙ্গার বিলাসিতা। আবারো এই শহর এক ধাপ উন্নতির দিকে এগিয়ে চলেছে। পণ্যবাহী যানবাহন এবার চলাচল করবে গঙ্গার তল দিয়ে। কলকাতা, হাওড়ার অত্যন্ত ভিড় এড়াতে তিলোত্তমার বুকে এই নব তব সংযোজন করা হবে। ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
অনেকেই এই খবরটি জানেন যে, ২০২৩ সাল থেকেই হুগলি নদীর তলা দিয়ে মেট্রো রেল চেপে অনায়াসে হাওড়া পৌঁছানো যাবে। এবারে ওই গঙ্গা বা হুগলি নদীর তলা দিয়েই যাতায়াত করতে পারবে পণ্যবাহী গাড়ি। একাধিক ভারী গাড়ি যাবে এই দীর্ঘ টানেল দিয়ে। মেট্রো চলাচলের কাজ শেষ হওয়ার মাত্রই এই টানেল তৈরির প্রজেক্ট শুরু হবে।
ছয় লেনের এই সুরঙ্গ তৈরি হলে, খিদিরপুর থেকে হাওড়া অবধি বহু পণ্যবাহী যানবাহন কোনরকম অসুবিধা ছাড়াই দ্রুত কাজের স্থানে পৌঁছাতে পারবে। জানা গেছে এই সুরঙ্গ লম্বায় ৮০০ মিটার পর্যন্ত হবে। একটি ডিপিআর এই আন্তর্জাতিক মানের সংস্থাটি তৈরি করেছে। বন্দরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কলকাতা, হাওড়া, এবং পাশ্ববর্তী এলাকা যানজটমুক্ত করতে কার্যকরী করা হবে এই টানেল।
প্রধানত ব্যাপারটি হলো ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না। খিদিরপুর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ডক দিয়ে প্রতিদিন একাধিক সারি সারি ট্রাক ও কন্টেনার যাতায়াত করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এড়াতে এবং সুষ্ঠুভাবে যানবাহন চলাচলের জন্য এই সুরঙ্গ নির্মাণের পরিকল্পনায় সিলমোহর বসানো হবে খুব শীঘ্রই।