জাপানে সৃষ্টি হয়েছে একটি নতুন আলোড়ন। কারণ জাপানের (Japan), হামামাতসু শহরের সমুদ্র উপকূলে একটি বড় লোহার বল-এর সন্ধান পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে জাপানের সরকার থেকে শুরু করে সেখানের সমস্ত পুলিশসহ, কোস্টগার্ড সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া জোরে এই বিশাল গোলকের ছবি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। শুধু জাপানের সাধারণ নাগরিকরাই নয় তার পাশাপাশি জাপানের কর্মকর্তারাও এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জাপানের কর্মকর্তারা যে গোলককে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি তার অনেক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেছে। তবে এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি এই লোহার গোলকটি কিভাবে জাপানের সমুদ্র উপকূলে এসে পৌঁছাল।
প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, এই বিশাল লোহার বলটি প্রথমে পরিলক্ষিত করেছিলেন টোকিও থেকে প্রায় ১৫৫ মাইল দূরে দক্ষিণের উপকূলীয় শহর হামামাতসু’তে একজন নাগরিক। তিনি দেখামাত্রই সকাল ৯ টায় পুলিশকে খবর দেন। তিনি জানান, সমুদ্র সৈকতে একটি বড় গোলাকার বস্তু পরে রয়েছে।
খবরটি পুলিশকে জানানো মাত্রই জাপানের মিডিয়াতেও তা চাঞ্চল্যভাবে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা, এক্স-রে প্রযুক্তির মাধ্যমে এই অচেনা লোহার গোলকটির অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা করার পর জানা যায়, এটির ভেতরের অংশ ফাঁপা। তাই এই গোলককে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই গোলকটি কোনো বোম হতে পারে যা নির্মাণ কার্যের সময় ভিতরের অংশ ফাঁপা দেখা গিয়েছিল বলে বাতিল হয়েছিল। এই গোলকের ব্যাস প্রায় ১.৫ মিটার। এটি বোমা কিনা তা এক্স-রের মাধ্যমে জানার প্রচেষ্টা করার পর জাপানের পুলিশ সঠিকভাবে তদন্তের জন্য বোমা নিষ্ক্রিয়করণ স্কোয়াডকেও ডেকেছিল এবং কিছু তদন্তকারীকে বিশেষ নিরাপত্তার পোশাক পরে পরীক্ষা করতেও দেখা যায়।
এই বিষয়টিকে নিয়ে জাপানের হামামাতসু শহরের প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে সমুদ্র সৈকতে সাধারণ মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ করেছিল। এলাকাটি পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীরা ঘিরে রেখেছিল। তবে বিকেল ৪ টায় মধ্যেই তুলে দেওয়া হয় এই নিষেধাজ্ঞা। জাপানের নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ অধিকতর তদন্তের জন্য লোহার গোলকটি তাদের হেফাজতে রেখেছে এবং তদন্ত চালাচ্ছে।