ভেবে দেখুন যদি আবহাওয়ায় (Weather) হঠাৎ বড়ো কোনও পরিবর্তন ঘটে তাহলে কেমন হবে? যদি জ্বলন্ত উত্তাপে তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যায় ৫০ ডিগ্রির উর্ধ্বে, থাকবে না এক বিন্দু বৃষ্টির সম্ভাবনা। তখন আতঙ্ক আর হাহাকারের সময় শুরু হবে। এমনটা কল্পনা করলে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায় সকলের। আবহাওয়া-জলবায়ু নিয়ে গবেষণা করা বিজ্ঞানীরা (Scientist) মনে করছেন এই বছর আমাদের দেশ এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে। এমনকি করোনার মতো মহামারী পুরোপুরি না কাটলেও আবার অন্য একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসতে চলেছে।
ইনস্টিটিউট অফ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্টাডিজ ডিরেক্টর বিজ্ঞানী (Scientist) ডিএস পাই সর্তক বার্তা দিয়েছেন যে, ২০২৩ সালে ভারতে খরা প্রবণ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে (Drought-prone conditions may emerge in India in 2023)। আশঙ্কা করা যাচ্ছে, আবারও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৯০ শতাংশ হ্রাস পেতে চলেছে। এল নিনোর (El Nino) প্রভাব যদি এক বছরের জন্য স্থায়ী হয় তবে তা পরবর্তী চক্রকেও প্রভাবিত করবে। ডিএস পাই-এর মতে, “এল নিনো সম্ভবত এই বছর লা নিনার ৩ বছর পরে আসবে।”
বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হওয়ার কারণে ১৯৫২, ১৯৬৫ এবং ১৯৭২ সালে ভারত খরার মুখোমুখি হয়েছিল এবং আশা করা যাচ্ছে ২০২৩ সালে ও ভারত সেই খরাপ্রবণ অবস্থা’র (Drought-prone conditions) মুখোমুখি হতে চলেছে। যেহেতু ভারতের অর্ধেক জনসংখ্যার জীবিকা কৃষিকাজ এবং তা নির্ভর করে জলসেচ ব্যবস্থার উপরেই। তাই ভারতে খরা প্রবণ অবস্থায় সৃষ্টি হলে ফসল চাষের ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে।
ডিএস পিআই জানিয়েছিলেন, “ই -নিউিনো (E-Newino) প্রভাবের কারণেই সম্ভাব্য একটি দীর্ঘ শুকনো আবহাওয়া (Weather) দেখা যেতে পারে। যদি শীতকালে এল নিনো একেবারে শীর্ষে থাকে এবং ২০২৪ সালের বসন্তের বাতাস অব্যাহত থাকে তবে এই পরের বছরটি সবচেয়ে তীব্র উষ্ণ হতে চলেছে। এল নিনো অব্যাহত থাকার কারণে ২০২৪ সালে তাপমাত্রা রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে।”
দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় বহু বছর পর ফেব্রুয়ারিতে এমন প্রখর উষ্ণতা অনুভব করা যাচ্ছে। এই কারণে জ্বলন্ত উত্তাপের সংকটময় অবস্থা হয়ে উঠছে আরও গভীর। গত কয়েকদিনের মধ্যেই পাঞ্জাবে যারা গম উৎপাদন করে এই প্রখর উত্তাপের কারণে তাদের ফসল চাষের সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রখর উত্তপের কারণে ফসল চাষে ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়ে চলেছে।
কৃষি মন্ত্রকের প্রাক্তন উপদেষ্টা ব্লেন মীনা জানিয়েছিলেন, “যে এল নিনোর কারণে দরিদ্র বর্ষা কৃষি ক্ষেত্রে গুরুতর প্রভাব ফেলতে চলেছে। তবে কৃষি বিশেষজ্ঞ ডিপিন্ডার শর্মা (Dipinder Sharma) বলেছিলেন বর্তমানে সব কিছুই ঠিক আছে, শুধু পাঞ্জাবের কৃষকরা ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন।”