সম্প্রতি একটি সুরঙ্গের হদিস পাওয়া গেছে প্রাচীন মন্দিরের (Temple) তলভাগে। এই সুরঙ্গের সম্পূর্ণ অংশটি পাথর খোদাই করে তৈরি করা হয়েছিল। মনে হচ্ছে, এই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে ক্লিয়োপেট্রার বহু সময় ধরে নিখোঁজ হয়ে থাকা একটি কবরের সন্ধান পেতে পারে। ৪৮০০ ফিটের লম্বা এই গভীর সুরঙ্গটি (Tunnel) উদ্ধার করা হয়েছে মিশরের প্রাচীন তাপোসিরিস ম্যাগনা মন্দিরের (The ancient Temple of Taposiris Magna in Egypt) তলায়। উচ্চতার দিক থেকে ৬ ফিট সমান এই সুরঙ্গ। এই সুরঙ্গের সাথে আরও একটি সুরঙ্গের সাদৃশ্য রয়েছে, যা স্ট্রাকচার গ্রিক আইল্যান্ড সামোসেতে পাওয়া ইউপলিনোসের সুরঙ্গ (The structure is Euplinos’ tunnel found on the Greek island of Samos) নামে পরিচিত।
এই সুরঙ্গটি পৃথিবীর সবথেকে প্রাচীন গুরুত্বপূর্ন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাচিভমেন্টের মধ্যে অন্যতম। ইউনিভার্সিটি অফ সান ডোমিঙ্গোর প্রত্নতাত্ত্বিক ক্যাথলিন মার্টিনেজ (Archaeologist Kathleen Martinez of the University of San Domingo) মনে করেন, এই মন্দিরেই কবর দেওয়া হয়েছিল মিশরের শেষ শাসক ক্লিয়োপেট্রার ও তার প্রেমী মার্ক অ্যান্টনিকে। এই সুরঙ্গের মধ্যে দিয়েই হয়তো।
এই মন্দিরটি আলেকজান্দ্রিয়ার কাছে অবস্থিত। একসময় এই মন্দিরটি ছিল মিশরের রাজধানী। রাণীর কবর স্থান হয়তো এতেই অবস্থিত। যদি সত্যিই এখানে শেষ মিশরীয় শাসকের দেহাবশেষ পাওয়া যায়, তবে এটাই একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় আবিষ্কার।
এই শহরে মারেওটিস হ্রদের তীরে ২৮০ এবং ২৭০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে মিশরীয় শাসক টলেমি দ্বিতীয় ফিলাডেলফাস বসতি শুরু করেছিলেন। পূর্বে এই শহরটির মাধ্যমে মিশর এবং লিবিয়ার মধ্যে বাণিজ্যে সম্পন্ন হত।
একটি সাক্ষাৎকারে ক্যাথোলিন (Katholin) জানিয়েছেন, ‘যদি এই সুরঙ্গে রাণীর কবর দেওয়া হয়, তবে সেটা খুঁজে বের করা আমার কর্তব্য। মন্দিরের ৪৩ ফুট নীচে এই আশ্চর্যতম রহস্যপূর্ণ সুড়ঙ্গটি আবিষ্কার করা গেছে। এছাড়াও ক্যাথোলিন মন্দিরের নীচের এই সুড়ঙ্গ থেকে অনেক তথ্য আবিষ্কার করেছি। যেমন – রানী ক্লিয়োপেট্রা এবং আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের ছবি সহ খোদাই করা নাম, নাম খোদাই করা অজস্র মুদ্রা এবং কয়েকটি মাথা কাটা মূর্তির সহিত দেবী আইসিস-এর মুদ্রাও সংগ্রহ করেছেন। এখন দেখার যাক অবশেষে কী হয়।’