Skip to content

এই গ্রাম যেখানে সন্ধ্যা ৭ টা বাজলেই বন্ধ করে দিতে হয় মোবাইল ও টিভি ব্যবহার! কেন এই আজব নিয়ম?

img 20221018 215403

বর্তমানে মানুষের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো – মোবাইল আর টিভি। এই দুটি জিনিস ছাড়া মানুষের জীবন অচল। ছোট থেকে বড়ো সব বয়সের ব্যক্তিদের হাতেই এখন মোবাইল থাকতে দেখা যায়। অনেকে যেমন কাজের সূত্রে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করেন, তেমনি অনেকে আবার অপ্রয়োজনেও অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করেন। প্রত্যেকেই মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে নিজের পরিবারের সাথে সময় কাটানো থেকে শুরু করে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজ সবই ভুলতে বসেছেন।

TV remote

করোনার সময়কালে মোবাইলের প্রতি মানুষের এই অতিরিক্ত আসক্তি আরও বেশি করে বাড়তে থাকে। গৃহবন্দী দশায় ছোট-বড়ো সবাই আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন এবং সাথে সাথেই এর  কুপ্রভাব পড়েছিল শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর।

তাই এই অবস্থায় গোটা গ্রামবাসীকে মোবাইলের আসক্তি থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য একটি অভিনব উপায় বের করেছিলেন সেই গ্রামের পঞ্চায়েত। এই গ্রামটি মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) অবস্থিত। নিয়মটি শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, এটা বাস্তবে হয়ে আসছে। গ্রামের মানুষদের মোবাইল ও টিভি থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে সন্ধ্যে ৭ টায়।

Mobile

গোটা গ্রামবাসীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার কথা চিন্তা করেই সন্ধ্যে ৭ টা থেকে মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার ভাদগাঁও গ্রামে (In Bhadgaon village of Sangli district) সাইরেন বাজিয়ে টানা ১ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয় ডিজিটাল কানেকশন। এই এক ঘন্টার মধ্যে গ্রামবাসীরা মোবাইল (Mobile) বা টিভির (TV) সংস্পর্শে আসতে পারেন না।  সন্ধের সময়টা তাদের এই আসক্তি থেকে দূরে রাখা হয়।

Village life

মহারাষ্ট্রের ওই নির্দিষ্ট গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান বিজয় মোহিত এই বিষয়ে জানিয়েছেন,  ‘করোনাকালে অনলাইন ক্লাসের দরুণ শিশুরা মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছিল।  কিন্তু বর্তমান স্কুল কলেজ খুলে যাওয়ার পরও ছোট শিশুরা মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে রয়েছে। তবে শুধু শিশুরা নয় সাথে বড়রাও অতিরিক্ত অপ্রয়োজনে ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল অথবা টিভি নিয়ে সময় কাটিয়ে দিচ্ছেন। ভুলে যাচ্ছেন পরিবারকে সময় দিতে।’

Smart phone addiction

এই অবস্থায় সাংলি গ্রামের পঞ্চায়েতে ১৪ই আগষ্ট থেকে সম্মেলন সভায় ঠিক করা হয়, প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ থাকবে মোবাইল, টিভি। তাই গ্রামবাসীদের মন থেকে এই আসক্তি দূর করার জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যে ৭ টায় ভো বাজিয়ে নিয়মটি পালন করা হয়। ৩ হাজার গ্রামবাসীর মধ্যে প্রথমে পুরুষরা রাজী হলেও স্ত্রীরা এই বিষয়ে রাজি হন নি। তবে পরে তারাও শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে নিয়মটি মেনে নেন।

Share