যখনই নারীর প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, তখনই ফ্যাশনকে নারীবিরোধী আদর্শের তকমা দেওয়া হয়। তবে যে যাই বলুক, নারীদের সাথে ফ্যাশনের সম্পর্ক খুবই প্রভাবশালী, অত্যন্ত গভীর। আমাদের এই বিচার-বিবেচনা মূলক যুক্তিহীন সমাজ একটি মেয়ে যখন ফ্যাশন জগত থেকে অনেকটা দূরে থাকে, তখনই তাকে ভালো-ভদ্র মনে করে। তবে আজ সময়ের সাথে সাথে মেয়েরা তাদের যোগ্যতায় অনেক দূর এগিয়ে এসে, সমাজের নিয়ম ভঙ্গ করে বুঝিয়ে দিয়েছে যে ভালো মেয়ে বা কম বুদ্ধিমান হওয়ার সঙ্গে ফ্যাশনের কোনো সম্পর্ক নেই।
১৯৬৬ সালে আজকের গিয়েছিল এক ঐতিহাসিক আনন্দময় ঘটনা। যা বদলে দিয়েছিল ভারতবাসীর ফ্যাশনের প্রতি ধারণা। প্রকৃতপক্ষে, ১৯৬৬ সালের ওই ১৭ই নভেম্বর প্রথম একটি ভারতীয় নারীকে আত্মবিশ্বাসের সাথে সুন্দরভাবে সাঁতারের পোষাক পরে র্যাম্পে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল। প্রশ্নের অতুলনীয় উত্তর এবং সাথে নিজস্ব ফ্যাশনেবল স্টাইল দিয়ে, তিনি শুধু আমাদের দেশের পতাকা উত্তোলন করেননি, সাথে ভারতীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি এবং নারী শক্তির যোগ্য উদাহরণও হয়ে উঠেছেন।
সেই মহান সাহসী নারীর নাম “ডাঃ রিতা ফারিয়া” (Dr. Rita Fariya)। এই সুন্দরী শুধু ভারতের নয় গোটা এশিয়ার প্রথম ‘মিস ওয়ার্ল্ড’। প্রতিযোগিতায় তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, “কেন তিনি ডাক্তার হতে চান?” সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘ভারতের প্রসূতি বিশেষজ্ঞ এবং স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের বিশেষ প্রয়োজন’। এই জবাব সকলের মন ছুঁয়ে গিয়েছিল।
উপস্থিত দর্শকদের হাততালি শেষ হচ্ছিল না। এইভাবেই কঠোর পরিশ্রম ও সুন্দর মন-মস্তিস্কের মাধ্যমে তিনি জিতে নিয়েছিলেন বিশ্ব সুন্দরী খেতাব।