টেলিকম ইউজাররা এতদিন যে সস্তা প্ল্যান উপভোগ করতেন সেই সুখের দিন এবার শেষ হতে চলেছে। ভারতী এয়ারটেল (Airtel) এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সুনীল মিত্তল সোমবার জানিয়ে দিয়েছেন যে, এবার আর পরিষেবার দাম বাড়ানোর ব্যাপারে কোম্পানি আর কোন লজ্জা করবে না। ৫ জি পরিষেবা চালুর প্রস্তুতির ব্যাপারে টেলকো ইতিমধ্যেই তার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।প্রায় ২.৮৬ বিলিয়ন জোগাড় করার জন্য শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির ব্যাপারে অনুমোদন দিয়েছে এয়ারটেল বোর্ড।
এয়ারটেলের (Airtel) চেয়ারম্যান মিওল পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, কোম্পানির ঋণের পরিমাণ একেবারে ভয়াবহ জায়গায় গিয়েছে। এবার টেলিকম শিল্পের ওপর থেকে লেভির বোঝা সরানো দরকার। ভারতে ৫ জি পরিষেবা নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ভারতী এয়ারটেল সংস্থা। ঠিক সেই কারণেই, চলতি বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে ভারতী গ্রুপ ডি ও টি এর কাছে প্রায় ১৮.০০৪ কোটি বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিয়েছে। আগামী দিনে এই পরিষেবায়ই ভারতের ডেটার বাজারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে।এরই পাশাপাশি, এডজাস্টমেন্ট গ্রস রেভিনিউ নিয়ে সরকারের সঙ্গে ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ভারতী এয়ারটেল সংস্থা।
প্রসঙ্গত,ভারতের বাজারে বেসরকারি টেলিকম সংস্থা গুলির মধ্যে এয়ারটেল দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বলে গণ্য করা হয়।অন্যদিকে, মুকেশ আম্বানির কোম্পানি রিলায়েন্স জিও কে পেছনে ফেলে দেশের প্রথম টেলিকম সংস্থা হিসেবে ৫ জি সার্ভিস সফলভাবে প্রদর্শন করে দেখালো এই টেলিকম সংস্থা। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সব দিক সামনে আসলে কোম্পানির মূলধন বৃদ্ধি করতে চাইছে কোম্পানি।আর সে কারণেই নানা রকমের পন্থা নেওয়া হচ্ছে।
এই ফান্ড বৃদ্ধির প্রক্রিয়া এয়ারটেলকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে, এমনটাই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এয়ারটেল বলছে,’ আমাদের গ্রাহকেরা ৫ জি নেটওয়ার্ক এর সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা তখনই নিতে পারবেন, যখন আরও পর্যাপ্ত পরিমাণে স্পেক্ট্রাম উপলব্ধ হবে সং সরকারও সেগুলি মঞ্জুর করবে ‘।টেলিকম সংস্থা দ্বারা ৫ জি নেটওয়ার্কের ব্যবহার তখনই করা যাবে যখন ইউজার কোম্পানির ৫ জি প্ল্যান সাবস্ক্রাইব করবেন ।