বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। করোনার সংক্রমণ প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড করে চলেছে। আগের সব রকম রেকর্ড ভেঙে দিয়ে আজ দেশের দৈনিক সংক্রমণ 4 লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। গত 24 ঘন্টায় দেশে মোট সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা 4,02,110 জন। বর্তমানে ভারত দৈনিক সংক্রমনের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ স্থানে রয়েছে। এছাড়াও প্রতিদিন মৃত্যুর হারও বেড়ে চলেছে। গত 24 ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে 3,522 জনের। এই পরিসংখ্যান থেকেই অনুমান করা যাচ্ছে দেশের বর্তমান অবস্থা কিরূপ।
এখনো পর্যন্ত ভারতবর্ষে সর্ব মোট আক্রান্তের সংখ্যা 19,157,094 জন। এবং সর্বমোট মৃতের সংখ্যা 211,835 জন। গত টানা নয় দিন ধরে দেশে দৈনিক প্রায় 3 লক্ষের বেশি সংক্রমণ হয়েছে। আজ 1 মে তে দৈনিক সংক্রমন চার লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। দেশের এই পরিসংখ্যান সত্যি অত্যন্ত সঙ্কটজনক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেনের প্রধান মেডিকেল উপদেষ্টা ডক্টর এন্টনি এস ফৌসি (Dr. Anthony S Fauci) ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছেন যে খুব তাড়াতাড়ি ভারতকে কয়েক সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন করা দরকার।
হোয়াইট হাউস এর মেডিকেল উপদেষ্টার বক্তব্য সত্যি ভাবার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে রাজ্যগুলির অবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে কয়েকটি রাজ্যের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। মহারাষ্ট্র গত 24 ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছে 62,919 জন, এবং মোট মৃত্যু ঘটেছে 828 জনের। কর্নাটকে দৈনিক সংক্রমনের সংখ্যা 48,296 জন। কেরলে মোট সংক্রমিত এর সংখ্যা 37,199 জন। দেশের রাজধানী দিল্লিতে মোট দৈনিক মৃতের সংখ্যা 375 জন। উত্তরপ্রদেশের দৈনিক মোট মৃতের সংখ্যা 332 জন।
বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মৃতের দিক থেকে এগিয়ে থাকা রাজ্যগুলি পর্যালোচনা করা যাক।
মহারাষ্ট্র (4,602,472)
কেরল (1,51,183)
কর্ণাটক(1,844,118)
উত্তর প্রদেশ (1,52,324)
তামিলনাড়ু (1,148,118)
দিল্লি(1,074,916)
এই পরিসংখ্যান থেকে যথেষ্টই বোঝা যাচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কতটা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এখনো পর্যন্ত দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা 3.3 মিলিয়ন। তাই দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটাই বার্তা, বাড়িতে থাকুন, খুব প্রয়োজন না হলে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন এবং মাক্স স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে থাকুন। সকল দেশবাসী একসাথে এগিয়ে না এলে করোনা এর সাথে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।