কলকাতা (Kolkata) সম্পর্কে গবেষকরা একটি ভয়ংকর তথ্য জানতে পেরেছেন। হাতেগোনা মাত্র কয়েকটা বছর তারপর জলের তলায় তলিয়ে যেতে পারে ভারতের (India) তিলোত্তমা। না! শুধু কলকাতা নয়, সাথে ভারতের বিভিন্ন উপকূলবর্তী শহরগুলো জলের তলায় ডুবে যেতে পারে বলে এমনটাই আশঙ্কা করছেন গবেষকরা। এর ফলে প্রায় ২০ কোটি মানুষ নিজের বাসস্থান হারাতে পারে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণেই ভবিষ্যতে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে চলেছে। আবার অ্যামেরিকার নিউজার্সির বিজ্ঞান সংস্থা ‘ক্লাইমেট সেন্ট্রাল’ (Climet Central)-এর একটি রিপোর্ট অনুসারে, আমরা সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ঠিক যতটা উচ্চতায় অবস্থিত হিসাবে মনে করি বাস্তবে কিন্তু তা ততটা উচ্চতায় নেই।
আর এই বিষয়ের কারণে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথেই বিপদে পড়তে চলেছে চিন, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভারতের মতো দেশগুলো। সঙ্গে এই তালিকায় উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোও রয়েছে। যেমন – কলকাতা (Kolkata)। সেই কারণেই জলের তলায় কলকাতা তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, ধীরে ধীরে কলকাতার মাটির নিচে সহনশীলতা কমে যাচ্ছে, তাই এখানে ১০ থেকে ১২ তলার বেশি বিল্ডিং বানানো উচিত নয়। কারণ কলকাতায় ২০ থেকে ৩০ তলা পর্যন্ত বিল্ডিং নির্মাণ হলে বেশি পরিমাণে মাটির নিচে গর্ত হতে থাকে এবং মাটিতে অতিরিক্ত পরিমাণ চাপ সৃষ্টি হয়। এর ফলে মাটির নীচ ফাঁপা হয়ে গিয়ে বহন ক্ষমতা কমে যায়।
তাই মনে করা হচ্ছে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কলকাতা জলের তলায় তলিয়ে যেতে পারে। সমুদ্রে জলস্তরের ওঠানামা ও স্থলভূমির উপর পর্যবেক্ষণকারী বিজ্ঞান সংস্থা স্যাটালাইটের মাধ্যমে জানিয়েছে, গ্রীন হাউজের (Green House Gas) ফলে বেড়ে চলা বিশ্ব উষ্ণায়ন (Global Warming) যদি কয়েক বছরের মধ্যে কমানো না যায় তবে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যেই সমুদ্রের জলস্তর উপকূল অনেকটাই উপরে উঠে আসবে।
এছাড়াও ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাটমোস্টিক রিসার্চ (NCAR) ভিত্তিক কমিউনিটি আর্থ সিস্টেম মডেল (CESM) -এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, গোটা বিশ্বের সমুদ্রের জলস্তর ২ থেকে ৭ ফুট বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ২১০০ সালের মধ্যে। তাই এই ভয়াবহ বিপর্যয়কে আটকানোর জন্য বিশ্বের রাষ্ট্র নেতাদের বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।